দুদকে যেতে হবে আমীর খসরুকে

বিএন ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারিজ করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
এ আদেশের ফলে, বিএনপি নেতা আমীর খসরুকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতেই হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
একইসাথে, এ বিষয়ে অক্টোবরের ১ তারিখ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত।
আজ সোমবার আমীর খসরুর পক্ষে করা আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন। আজ আমীর খসরুর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
গত ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, মুদ্রা পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমীর খসরুকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
উচ্চ আদালতে রিট মামলা বিচারাধীন থাকার কারণ দেখিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ দুদকে এখন পর্যন্ত হাজির হননি। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়েছেন।
দুদকের চিঠিতে অভিযোগ আনা হয়, তিনি বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
চট্টগ্রামের প্রাক্তন সংসদ সদস্য আমীর খসরুর বন্দর নগরীর চকবাজার থানার মেহেদীবাগের বাসায় ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয়। দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম এই অভিযোগের অনুসন্ধান করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ