বাঁশখালীতে ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীর বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল আগামী শুক্র ও শনিবার শেখেরখীল ইউনিয়নের ১টি কমিউনিটি সেন্টারে। খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার মেয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবে না বলে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এদিকে, বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ রোধকল্পে বিয়ের ক্লাবের মালিক ও বিবাহ সম্পন্নকারী কাজীদের নিয়ে প্রশাসনিকভাবে বৈঠকের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। জানা যায়, উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মো. আমিনের কন্যা চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) ও মৌলভীবাজার এলাকার এক প্রবাসী ছেলের সাথে আগামী শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। চাম্বল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফজল করিমের কন্যা চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর (১২) সাথে পূর্ব চাম্বলের এক প্রবাসী যুবকের সাথে আগামী শনিবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। এ বাল্যবিবাহ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবর চলে আসে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাখেরা শরীফ, সরল ইউনিয়নের আনছার ভিডিপি ওয়ার্ড দলনেতা মো. নুর হোসেন গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় দুইছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। ছাত্রীর অভিভাবকদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের ডেকে এনে অঙ্গীকারনামা গ্রহণ করা হয়। ছাত্রীর অভিভাবক মো. আমিন ও ফজল করিম তাদের কন্যার বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ার পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন। বাঁশখালী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাখেরা শরীফ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের নির্দেশনা পেয়ে গতকাল বুধবার চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির দুই ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিবাহ দুটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ