বাঁশখালী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মোহাম্মদ এরশাদঃ বাঁশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র মহিলা কলেজ বাঁশখালী গার্লস কলেজে পলিকেটনিক ইনস্টিটিউটের “ওয়েল্ডিং এন্ড ফ্রেবিকেশন”ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড নেভিগেশন কোর্সে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ বিতরন অনুষ্টান শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় বাঁশখালী গার্লস কলেজ মিলনায়তন হল রুমে কলেজের বাঁশখালী পলিটেকনিক ইস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হামিদুল হকের সভাপতিত্বে ও কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ জাহেদুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক শুভার্থী ঘোষের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও (SEIP) প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ।



প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ বাঁশখালী গার্লস ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,AEOSIB,SEIP) চীপ কো-অর্ডিনেটর ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান, (AEOSIB) কো-অর্ডিনেটর শাহাদাৎ হোসেন তালুকদার, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ ফারুক আহমেদ,বাঁশখালী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মুসা সিকাদার,বাঁশখালী হামিদিয়া রহিমা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জমির উদ্দীন নেসারী, সমাজসেবক ফজলুল কাদের চৌধুরী, অধ্যাপক জমির উদ্দীন চৌধুরী প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, যাদেরকে আজকে ওয়েল্ডিং এন্ড ফ্রেবিকেশন”ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড নেভিগেশন কোর্সে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ দেওয়া হচ্ছে, এই সার্টিফিকেট টি জার্মান দেশের, এই সার্টিফিকেট নিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশে কাজ করা যাবে।বর্তমান প্রযুক্তির এই বিশ্বে এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কেউ চাকুরী না পেয়ে থাকবে না।

আগামী ২০২০ সালে এই প্রকল্পের আওতায় সরকার ৬০% মানুষকে চাকুরী দেওয়া হয়েছে,আগামীতে ৭০% মানুষ কে এই প্রকল্পের আওয়াত সরকার চাকুরী দিবে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৮৮ সালে ৭ জুন এই বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি। আমি এই বাঁশখালী কে ভালবাসি, এই বাঁশখালীর ইতিহাস এখন ও আমার মনে পড়ে।এই পলিটেকনিকেল ইন্সটিটিউের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে যতটুকু প্রয়োজন আমি ততটুক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিব।



অনুষ্টানে প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মহান আল্লাহতালা এই পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তা সবকিছু মানব জাতি মানুষের জন্য। মানুষ তার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নির্যাতিত নিপিড়িত অবহেলিত এবং ক্ষুধার্ত হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তারই নাম হচ্ছে মানবতা। এই মানবতার অন্যতম শর্ত হচ্ছে মানুষকে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।

এই নারী জাতীকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বাঁশখালী একমাত্র গার্লস ডিগ্রী কলেজটা প্রতিষ্ঠা করেছি। ইতিমধ্যে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। আশা করি খুব শীগ্রই এই কলেজকে আরো বহুদুর নিয়ে যেতে পারব।পাশাপাশি বর্তমান সমাজে যুবসমাজকে বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করেছি।যাতে বাঁশখালীর যুবসমাজকে কোন প্রকার বেকারত্ব না থাকে। এই প্রশিক্ষণ যারা নিবে তারা বিশ্বের যে কোন দেশে চাকরীর সুযোগ পাবে।

ভবিষ্যতে এই পলিটেকনি ইনস্টিটিউটি বাঁশখালী বাসীর জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ