গভীর সাগরে বাঁশখালীর জেলে খুনের অভিযোগ, মালিক পক্ষে নিখোঁজ ডায়েরী

বিএন ডেস্কঃ গভীর বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আহম্মদ হোসেন প্রকাশ কালু মাঝি (৩৭) নামের এক জেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ফিশিং বোট মালিকের ভাই বাদি হয়ে ওই ঘটনায় কালু মাঝি নিখোঁজ বলে বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের মো. ফরিদ আহম্মদের “আহম্মদীয়া ” নামক ৭৪ অশ^ ক্ষমতা সম্পন্ন ফিশিং বোট নিয়ে গভীর সাগরে ১০ দিন পূর্বে ২৮ জন জেলে মাছ ধরতে যায়। ওই বোটের মাঝি হিসেবে ছিলেন আহম্মদ হোসেন প্রকাশ কালু মাঝি। বোটের মালিকও ওই বোটে ছিলেন।
অভিযোগ ওঠেছে কালু মাঝির সাথে বোট মালিকের টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে তাকে এক পর্যায়ে ধাক্কা মেরে সাগরে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে কালু মাঝি সাগরে তলিয়ে গেলে বোট মালিক অন্য জেলেদের নিয়ে দ্রুত ওই স্থান থেকে ফিরে এসে খবর প্রচার করে যে, নি¤œচাপের ঝড়ো হাওয়ায় ফিশিং বোট থেকে কালু মাঝি ছিঁটকে পড়ে মারা গেছে। এভাবে একটা হত্যা কান্ডকে ধামাচাপা দিচ্ছে বোটের মালিক মো. ফরিদ আহম্মদ
বর্তমানে বোটের মালিক পলাতক। তিনি আড়ালে থেকে তার ভাই নুর আহম্মদকে দিয়ে বাঁশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করিয়েছেন সেখানে কালু মাঝি নিখোঁজ বলে উল্লেখ করেছেন। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার আগেও টাকা নিয়ে কালু মাঝি ও বোট মালিকে বিরোধ হয়েছিল নুর মার্কেট এলাকায়। কালু মাঝি আনোয়ারা উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত মাহবুব আলীর পুত্র। কালু মাঝি গত ১২ বছর ধরে বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের নুর মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

শীলকূপের নুর মার্কেট এলাকায় গেলে কালু মাঝির স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর কি হয়েছে জানি না। কেউ বলছে হত্যা করেছে আবার কেউ বলছে সাগরে ডুবে মরেছে। আমার অবুঝ ৪টি কন্যা শিশু নিয়ে আমি খুব কষ্টে আছি। আমার স্বামীর হত্যার বিচার কে করবে ? পুলিশ হয়তো বোটের বাকি ২৭ জন জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বের হতে পারে। আমি অসহায় বলে কী পুলিশ আমার স্বামীর মৃত্যুর কারণ বের করবেন না ? বোটের ২৭ জন জেলে বাঁচলে আমার স্বামী কেন মরবে ?
মুঠোফোনে ফিশিং বোটের মালিক মো. ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘ কালু মাঝি নি¤œচাপের ঝড়ো হাওয়ায় ফিশিং বোট থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। তাঁকে কেউ হত্যা করেনি। ওইদিন ফিশিং বোটে আমিও ছিলাম স্ব চোখে সব দেখেছি। আমার সাথে টাকা নিয়েও তার কোন বিরোধ ছিল না। গ্রামবাসী ষড়যন্ত্র করছে। ।”।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ কালু মাঝি সাগরে নিখোঁজ হয়েছে বলে বোট মালিকের ভাই জিডি করেছে। ওই জিডির প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। মারা গেছে এ খবর কেউ বলেনি। তাছাড়া গভীর সাগরের বিষয়টি তদন্ত ছাড়া তো সঠিক রহস্য বের হবে না। 
একুশে মিডিয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ