দক্ষিণ চট্টগ্রামে জমে উঠছে পশুর বাজার


বিএন ডেস্কঃ ঈদে যানজটে ভোগান্তি বাড়ার আশঙ্কার মাঝেই দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেকে জমে উঠছে পশুবাজার। ওই বাজারে দেশি-বিদেশি ও দেশের বিখ্যাত কুষ্টিয়ার পশুও এনেছেন বিক্রেতারা। মোটাতাজা পশুতে ইতোমধ্যে ভরে উঠেছে বাজার। সিডিএ আবাসিক মাঠে প্রথমবারের মত বাজার গড়ে তুলেছে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে তত পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম বাড়ার সাথে যানজট তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা। তবে বাজারের ইজারাদার আলী আকবর জানান, এবার বাজারের কারণে কোন ধরনের যানজট হবে না। তিনি বলেন, যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত সেবকসহ নানা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজারে পশুর সাথে সাথে ক্রেতার সমাগম ঘটছে। এখনো বেচাকেনা তেমন জমে না উঠলেও আগামীকাল থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীর বাজারগুলোতে একইভাবে পশু আসতে শুরু করেছে। তবে এসব বাজারে স্থানীয় পশুর আধিক্য বেশি।
জানা গেছে, এবার রাস্তার উপর যাতে হাটবাজার বসতে না পারে সেজন্য উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা
নিয়েছে। কর্ণফুলী থানার পুলিশ বাজার এলাকায় ঘন ঘন টহল দিচ্ছে, যাতে বাজারের কারণে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে মইজ্জ্যারটেকে রাস্তার উপর পশুর বাজার বসানোর কারণে প্রতিনিয়ত যানজটে ঘরমুখো মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তবে এ বছরের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। সড়কের প্রশস্তকরণ কাজ অনেকটা এগিয়ে যাওয়ায় যানজট হবার সম্ভাবনা কম মনে করছে প্রশাসন।
জানা গেছে, মইজ্জ্যারটেক বাজার একটু আগে থেকেই জমে গেছে। গতকাল মইজ্জ্যারটেক বাজারে পশুর উপস্থিতি ছিল ভালো। ব্যবসায়ীদের ধারণা- আগামী কয়েক দিন পর থেকে বাজারে আসবে গ্রামগঞ্জ ও পাড়া-মহল্লার পশুর চালান ও মোটাতাজা করা পশু। বাজারে এসব পশুর শেষ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও রাখালরা। অনেক ব্যবসায়ী পাড়া-মহল্লায় মজুদ করা পশু হাটে নিয়ে গেছে। তবে বিক্রি হয়েছে কিছুটা কম। এছাড়া মইজ্জ্যারটেকের পশুর বাজারে ইতোমধ্যে দেশি বিদেশি শত শত পশুর সমাগম ঘটেছে। প্রতিদিন পশুর বহরে যুক্ত হচ্ছে নানা জাতের হরেক রকমের গরু। তবে সড়কের উপর বাজার বসানোর কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই প্রবেশ দ্বারে যানজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শাহ আমানত পিলার সেতুর উদ্বোধনের পর মইজ্জ্যারটেক এলাকায় নিয়মিত পশু বাজার জমে উঠে। আর উপজেলার অন্যান্য বাজারে ক্রমাগত পশুর বিকিকিনি কমতে থাকে। পরে পটিয়া উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী বাজার হিসেবে বাংলা অর্থ বছরের হিসাবে বাজারটি ইজারার আওতায় আনে। কর্ণফুলী উপজেলা সৃষ্টির পর এবার প্রথম তারা এ বাজারের ইজারা দিয়েছেন। বাজারের জন্য পর্যাপ্ত আবাসিক এলাকায় খালি জমি থাকায় খোলামেলা পরিবেশে এ বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।
কর্ণফুলী জোনের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুন জানান, ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে বাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বাড়ানো হবে। যাতে বাজারের কারণে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।
কর্ণফুলী থানার ওসি সৈয়দুল মোস্তফা জানান, বাজারকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরনের অস্থিরতা, চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, বাজারের কারণে এবার যানজট ও বিশৃঙ্খলার সম্ভবনা কম। এরপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
/পূর্বদেশ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ