মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে স্বাক্ষাত করলেন সিআইপি ইসমাইল


আব্দুল আলীম নোবেলঃ কক্সবাজার সমুদ্র জনপদের একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা, মো: ইসমাইল সিআইপি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন। তিনি ১৭আগষ্ট বঙ্গবভনে তাহার সাথে মিলিত হন। ঈসমাইল পৃথিবীর এক কোটি ৭০ লাখ প্রবাসী বাঙ্গালীকে পেছনে ফেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বলে জানাগেছে। কক্সবাজারের বরণ্য আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত এ কে এম মোজাম্মেল হকের কথা স্বরণ করেন। একই সাথে তার কাছ থেকে বিদেশে থাকা প্রবাসী বাঙ্গালীদের খোঁজখবর নেন রাষ্ট্রপতি। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সহকারী এ সরকার বাবু, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের এডিজি লে:কর্ণেল আরিফ হোসাইন ও সিইপি ঈসমাইলের পুত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্র সাইফুল ইসলাম টিপু ও মো: তহিদুল কাদের চৌধুরী। সিআইপি ঈসমাইল গত কয়েক দিন আগেও গণভবনের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন।  

কথায় আছে ভাগ্য এক ভাগ, ৯৯ পারসেন তার কঠোর পরিশ্রম। কঠোর পরিশ্রম পৌছে দিয়েছে যে মানুষটিকে এক অনন্য উচ্চতায়। যেটি সে কোন দিন দ্বিবাস্বপ্নও দেখেনি। আমরা বলতে পারি তিনি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। আজ তিনি সৎতা আর নিষ্ঠা কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে তাকে পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। তিনিও একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকবেলায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। এমনই পৃথিবীর অন্য প্রবাসী বাঙ্গালীরাও বৈধ পথে দেশে টাকা পাটিয়ে দেশকে আরো উন্নত শিখরে পৌছে দেওয়া সম্ভব। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ আজকের সিআইপি ইসমাইল। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের মান উচুঁ করার পাশাপাশি কক্সবাজারবাসীকেও সাম্মানিত করেছেন তিনি বার বার সেরা রেমিটেন্স দাতা হিসেবে। যেখানে এই এলাকায় অনেক মানুষ মাদকের ব্যবসা করে কোটিপতির হওয়ার স্বপ্নে বিভোর সেখানে সৎ উপার্জন করে এমন সম্মান বয়ে আনা নি:সহেন্দে আমাদের জন্য গৌরবের। 
দেশের সীমান্ত পারের নোনাজলে বেড়ে ওঠা, এই জনপদের মৃত্তিকার সন্তান মো: ঈসমাইল। অপাদমস্তক পরিশ্রমি,কর্মঠ। এখনও টকবগে তরুণ সদাহাস্য উজ্বল, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সে দিনের ঈসমাইল এখন তার পরিচয় সিআইপি ঈসমাইল। পৃথিবীর এক কোটি ৭০ লাখ প্রবাসী বাঙ্গালীকে পেছনে ফেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে তিন নাম্বারে দখল রেখেছে পরিশ্রমি এই মানুষটি। মাত্র দুই যুগ আগেও অতিসাধরণভাবে ভাগ্য বদলের আশায় পড়ি দিয়েছিল মধ্যপাচ্য মরুর দেশে। 
মো. ইসমাইল একজন সফল ব্যবসায়ি। এর পাশাপাশি রাজনীতি করতে পছন্দ করেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের ইউ.এ.ই কেন্দ্রী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এছাড়া তিনি সদস্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিজেনেস কাউন্সিল, ইসমাইল গ্রুপ অব কোম্পানীজ’র চেয়ারম্যান ও পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলনের উপদেষ্টা। 
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, যে পরিবারটি সেই ১৯৭৫ সালের পরে স্বাধীনতা বিরোধীদের নির্মম অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাদের গ্রামের বাড়ি টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে কক্সবাজার পাড়িজমান তারা। ওই সময় সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাংসদ ওসমান সওয়ার আলমের বদানত্যায় এখানে স্থায়ীভাবে আ¤্রয় নেয় এই পরিবারটি। কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য পরিচ্ছন্ন আওয়ামীলীগ নেতা সোনা আলীর ছোট ভাই মো: ঈসমাইল। সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন লালন করা এই পরিবারটির মাঝে এই সফলতায় তারাও বেজায় খুশি এমনটি মনে করছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। দেশপ্রেম আর পারিবারিক সুত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসারী পরিবারে জন্ম নেয়া যুবক মো. ইসমাইল, বিদেশে গিয়ে শুধু ব্যবসা নিয়েই আটকে থাকেনি। নিজেকে জড়িয়েছেন রাজনীতিসহ নানাবিধ ভালো কর্মকান্ডের সাথে, উদ্দেশ্য দেশের জন্য ভালো কিছু করে বিদেশের মাটিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ