বিএন ডেস্কঃ
সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল
হক চৌধুরী আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী
লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে ৬ হাজার ২০১ ভোটে হারিয়ে
বেসরকারিভাবে তিনি সিলেটের নগর পিতা নির্বাচিত হলেন তিনি।
শনিবার স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে আরিফুল হককে
বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও
সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আলীমুজ্জামান।
এর আগে মোট ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত হওয়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী
বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের
হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শনিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
ভোটগ্রহণ হয়।
পুনঃভোটে গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ২২২১ জন। এর মধ্যে আজ ভোট পড়েছে ১৩১২টি। তার
মধ্যে ধানের শীষে আরিফুল হক পেয়েছেন ১০৪৯ ভোট, নৌকায় কামরান পেয়েছেন ১৭৩
ভোট।
হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষে আরিফুল হক পেয়েছেন ১০৫৩ ভোট, নৌকায় কামরান পেয়েছেন ৩৫৪ ভোট।
সবমিলে ফলাফলে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৯২
হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পান ৮৬ হাজার
৩৯৭ ভোট।
সিলেটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। অন্য দুটি ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে হট্টগোলের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। এ কারণে এ দুটি ওয়ার্ডের ফল ঘোষণা করা হয়নি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। অন্য দুটি ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে হট্টগোলের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। এ কারণে এ দুটি ওয়ার্ডের ফল ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩০ জুলাই) সিসিক নির্বাচনে বাকি ২৪টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সলর
পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্রম কর সম্রাট, ৩
নম্বর ওয়ার্ডে কালাম আজাদ লায়েক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর রেজাউল
হাসান কয়েস লোদী, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ৬
নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর
ইলিয়াছুর রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান, ১০
নম্বর ওয়ার্ডে তারেক উদ্দিন তাজ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর
রকিবুল ইসলাম ঝলক, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, ১৩
নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সনতু, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর
ছয়ফুল আমিন বাকের, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মুহিত জাবেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে
রাশেদ আহমদ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান, ১৯
নম্বর ওয়ার্ডে শওকত আমীন তৌহিদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুর
রকীব তুহিন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ছালেহ আহমদ সেলিম, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান
কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর তাকবীর ইসলাম
পিন্টু, ২৬ নম্বরওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বেসরকারীভাবে
নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট সিটিতে নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন যারা
সাধারণ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে একেকটি সংরক্ষিত আসন। সেই হিসেবে নগরীতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদ রয়েছে ৯টি। এগুলোতে লড়াইয়ে ছিলেন ৬২ জন নারী। মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৩ জন নারী। ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী শারমিন আক্তার রুমির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
সাধারণ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে একেকটি সংরক্ষিত আসন। সেই হিসেবে নগরীতে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদ রয়েছে ৯টি। এগুলোতে লড়াইয়ে ছিলেন ৬২ জন নারী। মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৬৩ জন নারী। ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী শারমিন আক্তার রুমির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংরক্ষিত ১ নম্বর আসনে (১, ২ ও ৩ নম্বর
ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা (চশমা)। তিনি পেয়েছেন ৪৬৩৮
ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান কাউন্সিলর কোহিনূর ইয়াসমীন ঝর্ণা
(জিপ গাড়ি) পেয়েছেন ৩৯১৩টি ভোট।
সংরক্ষিত ২ আসনে (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন কুলসুমা বেগম পপি
(হেলিকপ্টার)। তিনি পেয়েছেন ৫৮৩২ ভোট। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান
কাউন্সিলর জাহানারা খানম মিলন (বই) পেয়েছেন ৩০০৮ ভোট।
সংরক্ষিত ৩ আসনে (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন রোকসানা
খানম-(ডলফিন)। তিনি পেয়েছেন ৪৭৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্যামলী
সরকার (মোবাইল ফোন) পেয়েছেন ৪৬৬০ ভোট।
সংরক্ষিত ৪ আসনে (১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন মাসুদা
সুলতানা (চশমা)। তিনি পেয়েছেন ১১১৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা.
রুহেনা খানম মুক্তা (জিপগাড়ি) পেয়েছেন ৬০৮৭ টি ভোট।
সংরক্ষিত ৫ আসনে (১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন শাহানা বেগম
শানু (ডলফিন)। তিনি পেয়েছেন ৬৮৫৪টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিবা
রাণী দে বাবলী (আনারস) পেয়েছেন ৫৭৫০ টি ভোট।
সংরক্ষিত ৬ (১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে বিজয়ী হয়েছেন শাহানারা বেগম
(বই)। তিনি পেয়েছেন ৮১৬৫টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. কামরুন
নাহার চৌধুরী তিন্নি (আনারস) পেয়েছেন ৩৯৭১টি ভোট।
সংরক্ষিত ৭ আসনে (১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড) দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক
ভোট পেয়েছেন। নাজনীন আকতার কণা (জিপগাড়ি) ও নার্গিস সুলতানা (চশমা)। তাদের
প্রাপ্ত ভোট ৪১৫৫টি।
সংরক্ষিত ৮ আসনে (২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন রেবেকা আক্তার
লাকী (জিপগাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৯৭৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
সালেহা কবীর শেপী (চশমা) ৩৯৩৫টি ভোট।
সংরক্ষিত ৯ আসনে (২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড) বিজয়ী হয়েছেন অ্যাডভোকেট
রোকসানা বেগম শাহনাজ (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামিরুন নেসা
(গ্লাস) পেয়েছেন ৫৪৭৫টি ভোট।
এন/ডি
0 মন্তব্যসমূহ