বাঁশখালী উপজেলা সম্প্রসারিত ভবনের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে কি ?

বি,এন ডেস্কঃ
চট্রগ্রামের একটি আলোচিত উপজেলা বাঁশখালী। ২০১৩ সালের ফেব্রয়ারিতে ভয়াবহ তান্ডবের সময় উপজেলা পরিষদ ভবন পুড়ে দেওয়া হয়। সে থেকে পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম চলছে নানা টানা পোড়নের মাধ্যমে।
ইতিমধ্যে নতুন একটি ভবন হলেও তাতেও সংকুলান হচ্ছে না বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম। ফলে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাঁশখালী উপজেলা সম্প্রসারিত ভবন করার উদ্যেগ গ্রহণ করে এবং তারই আলোকে নতুন ভবনের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ২০১৫ সালের ৭ মে। কিন্তু সে কাজ এখনও পর্যন্ত নিচের ফ্লোরে সীমাবদ্ধ। ৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার এ কাজ চুক্তিমূল্য হয় ৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৪৯ টাকা।
এ কাজ শুরুর তারিখ ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘ সময় নানা কারণে কাজ না হলেও বর্তমান ঠিকাদার মোহাম্মদ ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স(প্রা লিমিটেড ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করবে বলে বঁঅশখালী উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুইঁয়া দৈনিক আজাদীকে জানান।
তিনি আরো বলেন পূর্বের ঠিকাদার কাজ ফেলে যাওয়ায় সে কাজ নতুন করে করতে হয়েছে। তাছাড়া মাটির সমস্যার কারণে কাজের বিলম্ব হলেও এখন আর কোন সমস্যা হবে না। বর্তমানে বঁঅশখালীতে বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকশ, কোটি টাকার কাজ চলমান থাকলেও তার যথাযথ তদারকি হয়না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে কর্মরত ঠিকাদারগণ নিজেদের মত দায়সারা ভাবে কাজ করে যায়। বাঁশখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমগুলো মনিটরং হয়ন্‌া ফলে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ থাকলেও পরে তা নীরবেই সুরাহা হয়ে যায় । বাঁশখালীর বাহারছড়া ও ছনুয়ায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার কাজে অনিয়ম হলে ও তা যথাযথভাবে নিয়ম অনুসারে কাজ করা হয়নি। উপকূলের বেড়িবাধেঁর কাজে নানা অসংগতির কথা উঠে আসছে বার বার। এছাড়া বাঁশখালীর বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারগণ নিজেদের মত করে কাজ করেন। ইকোপার্কের কাজে বালিগুলো নিম্নমানের এবং পাথরগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। প্রধান সড়ক সম্প্রসারণ কাজে নানা অনিয়ম অথচ দেখার যেন কেউ নেই। সাধারণ জনগণের অভিযোগ বাঁশখালীতে যে পরিমান উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে তার যথাযথা তদারকি হলে জনগণ আরো বেশি সুফল পেত। উন্নয়ন কাজে অভিভাবকত্ব হীন হওয়ায় কাজের মান ভাল হচ্ছে না তা বলে বেড়ালেও মামলা ও বেকায়দায় পড়ার ভয়ে মুখ খুলছেনা অনেকে । আগামী জুনকে সামনে রেখে অধিকাংশ কাজ তড়িগড়ি করা হচ্ছে বিলের জন্য । অথচ কাজের মান দেখার মত সময় পাচ্ছে না দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ।
সুত্রঃ দৈনিক আজাদী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ