খালেদা জিয়াকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দেয়া হোক

বিএন ডেস্কঃ 
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অবিলম্বে তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিএনপিপন্থী সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
ঢাবি সাদা দল : ঢাবি সাদা দলের এক বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, ক্রমাগতভাবে জ্বর থাকা, পা ফুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন অসুস্থতার খবরে আমরা চিন্তিত ও আন্তরিকভাবে মর্মাহত এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন বয়স্ক মহিলা এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর কোনো অমানবিক ও প্রতিহিংসামূলক আচরণ কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা চাই রমজান ও আসন্ন ঈদের কথা মাথায় রেখে হলেও বেগম খালেদা জিয়ার ওপর চলমান অন্যায়-অবিচারের অবসান হোক। অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল বা তার পছন্দের অন্য কোনো হাসপাতালে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মো: আবদুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও স্বাক্ষর করেন ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মো. আসলাম হোসেন, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, ড. মো. শামসুল আলম, দেবাশীস পাল, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মহব্বত আলী, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
ইউট্যাব: সংগঠনের ৬২৫ জন শিক্ষক রোববার এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দাবি করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা দেখে তার আত্মীয় স্বজনরা বেদনাহত হয়েছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমাগত অবনতিশীল। কারাগারে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। একজন বয়স্কা নারীকে দীর্ঘদিন জেলখানায় আটক রাখা অন্যায়। তিনি তো বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। যাতে তিনি আবারো নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে এসে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
বিবৃতিদাতাদের অন্যতম হলেন- ইউট্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. এম ফরিদ আহমেদ, ড. আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. গোলাম রব্বানী, ড. মাহফুজুল হক, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারী মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি), কৃষিবিদ অধ্যাপক আবদুল করিম, ডা. মো: সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ