খুব সম্ভবত আবরার চৌধুরী বাপ্পী ওরফে (জিপসি রুদ্র) হতো পরবর্তী একরামুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাঁশখালী থানার অফিসার আতাউরকে কে বা কারা জিপসি রুদ্র সম্পর্কে বলেছিলো , জিপসি রুদ্রই পুকুরিয়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী । অফিসার আতাউর এই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করতে যায় পুকুরিয়ায় । দাউদ মানিককে জিজ্ঞাস করে , বাপ্পী (জিপসি রুদ্রের ডাকনাম) ৮নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়া এই ছেলেটিকে চিনে কি না ? দাউদ মানিক বলে, হ্যাঁ চিনি । ওনার পুরা নাম আবরার চৌধুরী বাপ্পী । উনি জিপসি রুদ্র নামে লেখালেখি করে এবং সিনেমা বানায় । উনার বাপ একজন সম্মানিত শিক্ষক । মারা গেছেন । জিপসি রুদ্র একজন উগ্রদেশপ্রেমিক । সাবেক ছাত্রলীগ নেতা । অনলাইনে উগ্রদেশপ্রেম, ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে লেখালেখি করে । যার জন্যে উনি বারবার উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদীদের রোষনলে শিকার হয় । গতবছর এইসময়ে উনি একজন রাজাকার যুদ্ধাপরাধীর মেয়ে এবং জামাতি আকিদার আওয়ামী এমপির রোষানলের শিকার হয়ে ৫৭ ধারায় কারাগারে অন্তরীন ছিলেন । আড়াই মাস পরে উনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আসে । এখন উনি একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত আছেন । 

দাউদ মানিক পাল্টা প্রশ্ন করেন অফিসার আতাউরকে , উনার সম্পর্কে কেনো জানতে চাচ্ছেন ? 

উত্তরে অফিসার আতাউর বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে উনি পুকুরিয়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী । 

দাউদ মানিক দাঁতে দাঁত কামড়ে বলেন , আল্লাহ আল্লাহ কি বলছেন এইসব ! উনি গত তিন চার বছর ধরে এলাকায়ও আসেন না ! বেশির ভাগ সময় অফিসের কাজে দেশের বাইরে থাকেন । উনার গোটা পরিবার আওয়ামীলীগের  রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত । বাপ্পী এলাকার প্রায় পঞ্চাশ ষাটজন বেকার ছেলেকে চাকরি দিয়ে এলাকায় বেকারত্ব কিছুটা হলেও দূর করেছে । আর আপনি বলছেন উনি মাদক ব্যবসায়ী ? এইসব উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র । উনি এর আগেও ষড়যত্রের শিকার হয়েছে এখনো ষড়যন্ত্রকারীরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে । এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা , বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত । 

অফিসার আতাউর বলেন , ঠিকাছে আমরা আরো তদন্ত করে দেখি ! 

দাউদ মানিক বলে, বাপ্পীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে । আপনারা অধিকতর তদন্ত করেন । শুধু শুধু মিথ্যা অভিযোগের উপর কারো বিরুদ্ধে একশনে যাবেন না । 

অফিসার আতাউর বলেন , ঠিকাছে । এই বিষয়ে আর কথা বলার দরকার নাই । আমার যা তথ্য আমি পেয়েছি । 

জিপসি রুদ্রের ফেইসবুক আইডি ঘুরে দেখলে বুঝা যায় , জিপসি রুদ্র একজন উগ্রদেশপ্রেমিক লেখক । যে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ তরুণ প্রজন্মের মগজে মননে বোধে চিন্তায় চেতনায় ঢুকাতে চান । তার লেখায় বারবার উঠে আসে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা তা এবং জাতির পিতার আদর্শের কথা । সে বলে, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফেরত নিয়ে যেতে হলে উগ্রধর্মান্ধদের টুঁটি  যেমন চেপে ধরতে হবে ঠিক তেমনি নয়া প্রজন্মে মগজে দেশপ্রেম এবং দেশের জন্ম ইতিহাস ঢুকাতে হবে । অন্যথায় বেহাত হয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত মহান বিপ্লব । 

কিছুদিন আগে আমরা দেখতে পেয়েছি , একজন আওয়ামীলীগের ডাই হার্ট কর্মী একরামুল হককে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে কিভাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে খুন করা হয়েছে । একই প্রক্রিয়ায় হয়তো বাপ্পীকেও সরিয়ে দিতে চাচ্ছে আওয়ামী বিরোধী অপশক্তি । 

বাপ্পীর একসময়ের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বর্তমানে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আনিসুল হক চৌধুরীর সাথে বাপ্পী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাপ্পী একজন নিরেট দেশপ্রেমিক আওয়ামী বান্ধব লেখক । সে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে লেখালেখির জন্যে বারবার উগ্রধর্মান্ধ মৌলবাদীদের টার্গেটে পরিনত হয়েছে । বাপ্পীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ , হতাশ এবং চিন্তিত । আমরা একরামুল হককে হারিয়েছি ! আমরা বাপ্পীকে হারাইতে চাই না । বাপ্পীদের মতন উগ্রদেশপ্রেমিক চেতনা সমৃদ্ধ আদর্শিক কর্মী আওয়ামীলীগের জন্যে এই সময়ে খুবই দরকার । 

বাপ্পীর সাথে মাদক ব্যবসার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে মন্তব্য জানতে চাইলে বাপ্পী বলেন , আমি নিজের অফিস , লেখালেখি এবং ফিল্ম মেইকিং নিয়ে এতোই ব্যস্ত থাকি অতিপ্রয়োজনেও বাড়ি ঘরে যেতে পারি না । শেষ কবে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম আমার মনেও নাই । আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে । সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে একদিন ঠিকই বিদ্রোহী সূর্যটা উঠবে জ্বলে । 

বাপ্পীর বিষয়ে অফিসার আতাউরের সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ অফিসার আতাউর বলেন , হ্যাঁ আমাদের সোর্স আমাদেরকে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার তথ্য দিয়েছিলো । আমরা বাপ্পী সম্পর্কে বেশ কয়েকজন থেকে ইনফরমেশন নিয়েছি । কিন্তু তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কেউই কোন নেগেটিভ তথ্য দেয় নাই ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ