পরিকল্পিত ও সমৃদ্ধ কক্সবাজার আমাদেরকেই গড়তে হবে



আব্দুল আলীম নোবেলঃ একজন লেখকের সুখী জীবন ভাবনার দুইটি লাইন নিয়ে আজকের লেখাটি শুরু করতে চাই। তিনি লিখেন, কেউ আপনার সুখের দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই। আপনার কাজই আপনাকে সুখ এনে দেবে। মনে রাখবেন সময় যতই ভাল বা খারাপ হোক তা বদলাবেই। প্রাকৃতিক নৈর্সগিক বহু বিশেষনে বিশেষিত এই আমাদের কক্সবাজার। বর্তমানে স্বল্প মেয়াদি অল্প পরিকল্পনার কক্সবাজারের প্রক্ষোপটে অগ্রযাত্রা ভাবিয়ে তুলছে চিন্তাশীলদের। নগদ লাভের অলিক সুখের আশায় কিছু সরকারী বেসরকারী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তির উপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে চাই আমারা। এখানে তো আমাদের চিন্তা শক্তির বড় বিপর্যয়। দৃষ্টি শক্তি বদলায় বদলে যাবে জীবন মান। কথায় কথায় আমরা দিবাস্বপ্ন দেখি, একটি সুখি সমৃদ্ধ অনন্য একটি জনপদ। নিজেকে কি কোন দিন প্রশ্ন করে দেখিছি, এই নগরের উন্নয়নে আমি কতবার চিন্তা করেছি। আগামীর প্রজম্মের জন্য একটি বাস যোগ্য কক্সবাজার গড়তে। আমার স্বপ্ন, আমার প্রত্যাশা, আমার মননের চিন্তার কতটা অংশ গ্রহন আছে এখানে। জানি এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগই নিশ্চিত ফেল করবে। আর আমরা বড় বড় কথা বলে দুষ চাপায় চেয়ার ওয়ালেদের উপর। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী গড়তে হাত লাগায়, তাদের কাঁেধ কাধঁ মিলায় এতে এগিয়ে যাবে আমাদের প্রিয় এই নগরী।
পুরো জেলার পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলার সাড়ে নয় শতাধিক জনপ্রতিনিধি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কউকসহ এর অর্ধশতাধিক সরকারী অফিসের কর্তা প্রধানদেরকে সবার আগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সাথে এই নগরের সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে আমাদেরকে। বর্তমানে কক্সবাজারে অর্ধ কোটি মানুষের বসবাস। প্রতিদিন নানা পেশার নানা শ্রেনীর অনন্য মিলন মেলা এখানে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে হাজার দুইয়েক ভিনদেশীর আনাঘোনা চোখে পড়ে কক্সবাজারে। তাদের কারণে বিশ্বসংযোগ ও বিশ্ব পরিচিতিও বেড়েছে। সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর সম্ভাবনাময় আগামীর দিকে এগুচ্ছি আমারা। তবে, বিশেষ করে শহরের অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা নগারয়ণ মোটেও আমাদের জন্য সুখের নয়। পরিবেশ প্রতিবেশের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা নেই কারো। যে, যেভাবে পারে অনেকটা অনিয়মের প্রতিযোগিতার নেমে পড়েছি। আমি যদি নিজেই সেখান থেকে বের না হতে পারি কেইতো আমাকে বের করতে পারবে না। সাবার আগে আমাকে সচেতন হতে হবে। এখানে কোন সুখ নেই দৃশ্যত সাময়িক রাং মাখানো সুখ দেখলেও বরাবরেই চরম ক্ষতি করে চলছি আমার স্বজাতির। এই ক্ষেত্রে দেশ প্রেমের জাগ্রতবোধ না হলে, কারো উপর কুড়াল মারলেও কাজ হবে না। বলতে হবে আজকের পদক্ষেপ আগামীর পরিকল্পিত কক্সবাজার। আসুন শপথ নিই। একটি সমৃদ্ধ ও পরিকল্পিত কক্সবাজার বিনার্মাণে সবার আগে আমাদের অংশ গ্রহণ জরুরী। কেউ আমাদের রাতারাতি পরিবর্তন করে দিবে না, পরিবর্তনের ডাক কারো না কারো দিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ