বাঁশখালীতে জামাই-শাশুড়ি আর শালা মিলে ইয়াবা ও পতিতা ব্যবসা

পুকুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নাটমুড়া গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার শাশুড়ি ও শালা মিলেইয়াবা ও পতিতা ব্যবসা করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল৪টার দিকে জনতার প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে নুরমোহাম্মদ কলোনির ভাড়াটিয়া বাড়ির (অভিযুক্তদের বাড়ির) পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ ঘটনায়কলোনির মালিক নুর মোহাম্মদ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন বাদি হয়ে দুইটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নাটমুড়া গ্রামে নুর মোহাম্মদেরমালিকানাধীন ভাড়াঘরে বসবাস করে আসছিলেন আবদুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৩৫)নামেরএক যুবক। তার শাশুড়ি শাহিন আক্তার (৪২), শ্যালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (২৬), মোহাম্মদ আলমগীর (২৪)-কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিল। ব্যবসার সুবাদে এলাকায় পরিচিতি লাভ করায়বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় মহিলাদের এনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পতিতা ব্যবসা শুরু করে।
তার সাথে বাধা দিতে গিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা হামলাকরেছে। তবে বেশি ক্ষতি করতে পারেনি। মালামাল লুটের চেষ্টা চালিয়েছিল।  ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম নাটমুড়া গ্রামে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে অনেকে ইয়াবাব্যবসা করে আসছিল। শুনেছি রাতের আঁধারে বহিরাগত মহিলা নিয়ে এসে পতিতা ব্যবসাও করতো।মহিউদ্দিনকে এ ব্যবসা বিরত থেকে সরে যাওয়ার জন্য পূর্বে অনেকবার বলা হয়েছিল। জমিদারকেওবলেছিলাম। মহিউদ্দিন ও তার আত্মীয়–স্বজন অনৈতিক কাজে জড়িত।  রামদাশ মুন্সির হাট তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ওসহযোগীদের ধরতে দীর্ঘদিন থেকে সোর্স নিয়োগ করা ছিল। গতকাল অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েসে সপরিবারে পালিয়েছে। তার ভাড়াঘরে বিদ্যুৎ পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শাশুড়ি, শালা সবাইইয়াবা ব্যবসা ও অনৈতিক ব্যবসায় জড়িত। ইয়াবা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে।
/পূর্বকোণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ