সাংবাদিকদের ঐক্যের প্রয়োজন কক্সবাজারে


আব্দুল আলীম নোবেলঃ কক্সবাজারের সাংবাদিকরা এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশী গণমাধ্যের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। তুলে ধরছে এই জনপদের সংবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশের মাটিতেও পা রেখেছেন । মাত্র দুই দিন আগে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকাতে বক্তব্য প্রদান করেছে সাংবাদিক নেতারা। এটি কক্সবাজরের সাংবাদিক সমাজের জন্য বড় গর্বের। যাহা অতীতে এমন অর্জন বিরল আমাদের জন্য। এমন অর্জন গুলো ধরে রাখা আমাদের দরকার। আবার কিছু সাংবাদিকের বির্তকিত কার্মকান্ডে সাংবাদিকদের নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছে পাঠক মহল। এদেশের গণতন্ত্রের প্রেক্ষাপটে বিরোধ, বিভাজন, বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকবে সেটি মানলাম তবে সেটি হতে হবে শালীন এবং রুচিবোধের মধ্যে। সম্প্রতি আমাদের মধ্যে সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধিতার পর্যায় এমনভাবে গড়ায় যা কোনভাবে কাম্য নয়। এতে কক্সবাজারে সাংবাদিকদের অনঐক্যের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলছে। যেটি আমাদের জন্য মোটেও ভাল ফলাফল বয়ে আনবে না আগামীতে। এতে হবে কি দুর্নীতিবাজ ও অপরাধিরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের উপর চড়াও হতে একটু দ্বিধাবোধ করবে না। আমি ব্যক্তি নগ্য হলেও এইটি মহান পেশা। সবাই বলে তাকে সাংবাদিকরা জাতির বিবেক বলে খ্যাত। এই ক্ষেত্রে তো আমাদের আরো বেশি সজাগ ও জাগ্রত বিবেকের পরিচয় দিতে হবে। 

কক্সবাজার নানা দিক থেকে সমৃদ্ধ এর পাশাপাশি বহুকারণে এইটি আবার অনেকেই ক্রাইমজোন বলে থাকে, ক্রাইমজোনে সবসময় অপরাধীদের দলবারী থাকে সেটিও আমাদের মনে রাখাতে হবে। এইসব অপরাধিরা যে কোন মহূর্তে আমাদের উপর আঘাত আনতে পরে। গতকালও আমাদের এক সহকর্মী সাংবাদিক শফিউল্লাহ শফির উপর হামলা করেছে অপরাধীরা, এর তিন দিন আগে রামুর সাংবাদিক আব্দুল মালেক সিকদারের উপর হামলা করেছে। সেটি খুবই দূঃখজনক। সম্প্রতি এই জেলায় সাংবাদিক হামলার মাত্রা বেড়েছে। হঠাৎ করে সাংবাদিকের উপর হামলার করার সাহস করে, যে কোন অরাধীরা এর বেশ কিছু কারণ আছে, আমি বলবো এর প্রধান কারণ আমাদের ঐক্য না থাকা। এতেই আজকে যে কেউ সাংবাদিকের উপর হামলা করতে সাহস পাচ্ছে। 
এই মূর্হতে হলেও কক্সবাজারের সাংবাদিকের বড় ঐক্যের প্রয়োজন মনে করছি। তা না হলে তিলে তিলে কারনে অকারণে মার খেতে খেতে দিন যাবে আমাদের। অতিসহজে অপরাধীরা আমাদের কণ্ঠ রোধ করবে। আমাদের কণ্ঠ রোধ করা মানে সাধারণ অসহায় নিপীড়িৎ নির্যতিত মানুষের কণ্ঠ রোধ করা। যেমন একজন সাংসদ দু’থানার প্রতিনিধি আর একজন জেলার সাংবাদিক পুরো জেলা প্রতিনিধি, এই সমাজের অসংঘতি অনিয়ম দুর্নীতি পুরো জাতির সামনে তুলে ধরেন তারা। বর্তমানে অর্ধ কোটি মানুষের পদভারে চলছে এই জেলা। প্রতিদিন দেশীবিদেশী নানা পেশার মানুষ এখানে আসছে। বলতে গেলে ঢাকা, চট্টগ্রামের পরে কক্সবারের স্থান। বর্তমান সরকারে সু-দৃষ্টির কারনে ব্যাপকভাবে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে কক্সবাজারে। উন্নয়ন সংবাদিকতার চর্চাও আমাদের বাড়াতে হবে। কারণ দেশ আমার, বলতেই হবে আজকের সকালটা একান্তই আমারই। একই সাথে নানাভাবে বিশ্বাদরবারে কক্সবাজারের পরিচিতি বেড়েছে। সবমিলিয়ে সাংবাদ ও সাংবাদিকাতার গুরুত্বও বেড়েছে এই জনপদে। কক্সবাজার থেকে নিয়মিত ১৯থেকে ২০টি দৈনিক প্রকাশ হচ্ছে। জেলা জুড়ে এর সাথে দুই ডজনেরও বেশি আনলাইন পোর্টাল নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। এর পাশাপাশি সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীও বেড়ে চলছে। তবে দেশ প্রেম, উন্নয়ন, সহকর্মীদের ভালবাসার টানে সবার আগে প্রত্যক জনকে ঐক্য এবং বিশাল মনের পরিচয় দিতে হবে আমাদের। পারি না আমার অপর সহর্মীকে একটু ক্ষমা করতে? আসুন শ্রদ্ধা, সহনশীলতা, ভালবাসা বাড়িয়ে দিই প্রিয় সহকর্মীরা।   

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ