রনিকে খুঁজছে পুলিশ

বি,এন ডেস্কঃ
পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। তাকে হণ্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালককে মারধর করে চাঁদাদাবির অভিযোগে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন কোচিং সেন্টারটির পরিচালক মো. রাশেদ মিয়া। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারন করা মারধরের ভিডিও-ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রকাশ হবার পরপরই দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহিত চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেন রনি।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া বলেন, আট বছর ধরে ইউনিএইড (ইউনিভার্সিটি এডমিশন) কোচিং চট্টগ্রাম শাখা পরিচালনা করছেন। নুরুল আজিম রনি কোচিং সেন্টারের অফিস জোর করে ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানের কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। অফিস ব্যবহারে নিষেধ করলে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কোচিং সেন্টারের জিইসি শাখায় গিয়ে রনি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে রাজী না হলে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদকে চড়- থাপ্পড় মারেন। ঘটনার সময় রনির সাথে নোমান চৌধুরী রাকিব নামে আরো একজন যুবক ছিল। তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে গত ১৯ এপ্রিল রাতে পাঁচলাইশ থানায় রনি ও রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। আর মামলা দায়েরের পর থেকে রনি তার মুঠোফোন বন্ধ করে দিয়ে আতœগোপনে চলে যান।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে নুরুল আজিম রনি আতœগোপনে রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা ঘটনায় সমালোচিত হন নুরুল আজিম রনি। গত বছরের ২০ মার্চ ৭০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে চকবাজার থানার তৎকালীন ওসি আাজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই সময় পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে রাশেদ মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রনি। এর এক বছরের মাথায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাশেদ মিয়াকে তার কোচিং সেন্টারের অফিসে ঢুকে বেধড়ক চড়-থাপ্পড় মারে রনি। এর আগে গত ৩১ মার্চ চকবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর করার ঘটনায় আলোচিত সমালোচিত হন রনি। ওই ঘটনায় রনিসহ ছাত্রলীগের সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ চৌধুরী। ২০১৬ সালের ৭ মে হাটহাজারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বোর্ড স্কুল কেন্দ্রের বাইরে থেকে ভোটের সিলসহ রনিকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হয়। এসময় তার কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিধ রনিকে দুই বছরের কারাদ- কদেন। 
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ