লোহাগাড়ায় হোটেল ‘মিডওয়ে ইনে’ হাতাহাতি : যাত্রীসহ আহত ২০ : আটক ৩

জোবাইর বিন জীহাদীঃ
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে হাইওয়ে রেস্তোরা হোটেল মিডওয়ে ইন-এ ২২ মার্চ সকাল ৮টায় গ্লাস পরিষ্কার করে দেওয়ার কথাকাটিতে উভয় পক্ষের হাতাহাতিতে ২০ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। বিষয়টি লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মোজাম্মেল নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, কক্সবাজারমূখী যাত্রীবাহী বাস শ্যামলী পরিবহণ হোটেল মিডওয়ে ইন এ যাত্রা বিরতি করেন। শ্যামলী পরিবহনের ১৩ যাত্রী এক টেবিলে বসে নাস্তা করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন গ্লাসে ময়লা দেখে টেবিল বয় ডেকে গ্লাস পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য বলেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনায় হোটেলের চেয়ার ও গ্লাস ভাংচুর হয়। এতে বাসের ১৩ যাত্রীসহ ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ফয়সাল নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়। আহতারা হলেন, আখের, শোয়াইবুল হাসান, মাসফিকুর রহমান, সাইফুল মোল্লা, মো: ফয়সাল, মো: হীরণ, ফয়েজ, উজ্জল ও শাওন। তারা সবাই ঢাকা শেরে বাংলা এলাকার বাসিন্দা। হোটেল কর্মীদের মধ্যে আহতরা হলেন, মাউনুদ্দিন, রায়হান, জসিম উদ্দিন, রহমান, সাকিব, ওসমান ও হেলাল। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে শ্যামলী পরিবহনটি পালিয়ে যায়। বাসের যাত্রী আহত উজ্জল বলেন, তারা সবাই ঢাকার ব্যবসায়ী। ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য ১৩ বন্ধু বের হয়। চট্টগ্রাম থেকে শ্যামলী বাসে করে কক্সবাজার যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতীতে হোটেলে মিডওয়ে ইনে বাস দাড়াঁয়। আমরাও নাস্তা করার জন্য হোটেলে যাই। নাস্তা করার এক ফাঁকে এক বন্ধু গ্লাসে ময়লা দেখে বয় ডেকে পরিষ্কার করার জন্য বলেন। টেবিল বয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই বন্ধুটি গ্লাসটি আচাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলে। ওই সময় অন্যান্য টেবিল বয় এসে তাদের হাতে যা ছিল তা দিয়ে এলোপাতাড়ী মারতে থাকে সবাইকে। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হোটেলের কর্মচারীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিকৎকার দেয়। হোটেল থেকে ২/৩শ লোক এক সাথে এসে ধাওয়া করে মহাসড়কে মারতে থাকে। এতে এক পর্যাযে ঘটনাস্থলে হোটেল কর্মচারীদেও হাতে থাকা লোহার তাবার আঘাতে ফয়সাল গুরুতর আহত হলে হোটেলের কর্মচারীরা মারা গেছে মনে করে পালিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি আরো বলেন, ফয়সালের অবস্থা খুবই খারাপ। সিটিস্ক্যান করে এখন আইসিউতে রয়েছে। বাকিটা আল্লাহর উপর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ