বিএন ডেস্কঃ
জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
বাবার জন্মদিনে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের
উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে পড়ে নেই। এই অঞ্চলের সব দেশের
সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।
এটি জাতির জন্য এক বিরাট অর্জন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আন্তরিক
অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন ক্ষুধা ও
দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা, সেই পথেই আমরা আরও এক ধাপ এগিয়েছি।
তাই আজকে জাতির পিতার এই জন্মদিনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের
উত্তরণের এই সুখবর আমাদের জন্য এক বিরাট সফলতা বলে আমি মনে করি।’
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন এবং
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
ভাষণকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের
উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের
সহযোগিতায় জাতির পিতার সমাধি কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের জন্য একটা সুখের সংবাদ। জাতির পিতার
জন্মদিনেই এই সংবাদটা আমরা পেলাম যে আমাদের এত দিনের প্রচেষ্টার ফলে আজকে
বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ ছিল, সেই দেশ জাতিসংঘ কর্তৃক
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থাৎ আমাদের
প্রতিবেশী দেশগুলো, যেমন: ভারত, শ্রীলঙ্কা, এমনকি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন
উন্নয়নশীল দেশের কাতারেই আজ বাংলাদেশের অবস্থান।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এক ধাপ পিছিয়ে ছিলাম। আজকেই আমরা খবর পেয়েছি, আমরা
আর পিছিয়ে পড়ে নেই। এই অঞ্চলের সকল দেশের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে আমরা
এগিয়ে যেতে পারব। আমরা চলতে পারব। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্য হয়ে উঠেছে, কারণ এটি এলডিসি ব্লক থেকে বের
হওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে।’
জাতিসংঘের প্যানেল দ্য কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি কমিটি (সিডিপি) গতকাল
শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সভায় বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে
উত্তরণের বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে।
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 মন্তব্যসমূহ