বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ যায় না তবে মাঝে মধ্যে আসে

মির তৌহিদঃ
গণ পরিবহনে নৈরাজ্যের পর বাঁশখালীবাসীর জন্য আরেকটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ।এটাকে চিরস্থায়ী দুঃখও বলা যায়।যেদিন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ বাশখালীতে ঢুকলো সেদিন থেকে এই সমস্যার শুরু। বাঁশখালীর আশে পাশে সাতকানিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া সহ আরো অনেক থানা রয়েছে।অথচ বিদ্যুতের এমন অবস্থা অন্য কোথাও হয় না।সকালে বিদ্যুৎ গেলে সন্ধ্যায় আসে কিংবা রাতে গেলে তার পরের দিন রাতেও আসে না অনেক সময়।এসব নিয়ে স্থানীয় এমপি বা জন প্রতিনিধি কারো মাথা ব্যথা নাই।দিন ১২- ১৪ ঘন্টা লোডশেডিং।অনেক সময় দেখা যায় সারাদিন রাত মিলে ৪-৬ ঘন্টাও বিদ্যুত থাকে না।অথচ না থাকার মতো কোন কারণও থাকে না। মাঝে মধ্যে হঠাত এরকম হলে মেনে নেওয়া যায় কিন্তু প্রতিদিন হলে এটা জন ভোগান্তিতে পরিণত হয়। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ এখন উৎপাদন হচ্ছে তাতে এতো ঘন্টা লোডশেডিং হওয়ার কোন কারণ নেই।দেশের একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এমন লোডশেডিং হয় কিনা সন্দেহ যে পরিমান বাঁশখালীতে হয়।আশে পাশের থানাগুলোতেও যদি একই রকম হতো তাহলে এই সমস্যাটাকে স্বাভাবিক হিসেবে নেওয়া যেতো।কোন কারন ছাড়াই তারা ঘন্টার পর ঘন্টা কারেন্ট দেয় না।একটু বাতাস বইলে, একটু বেশী বৃষ্টি পড়লে অথবা বেশী রোদ হলে কিংবা কিছুই না হলেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতহীন থাকতে হয় সাধারন মানুষদের।অথচ বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় এসবের কিছুই গোনায় ধরা হয় না। এই অবহেলার প্রধান কারণ হচ্ছে বাশঁখালীর কোন শক্ত অভিভাবক নেই।স্থানীয় এমপির এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর সময় আছে বলে মনেই হয় না। থাকার ও কথা না। পল্লীবিদ্যুতের কাজ হচ্ছে ব্যবসা করা।তা তারা সেটা যেকোন উপায়ে করবে।১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ দিয়ে ২৪ ঘন্টার বিদ্যুৎ বিল দেয়।যেহেতু বিদ্যুৎ সেবার মধ্যে পড়ে এবং অন্য এলাকায় লোডশেডিং এর এতো উতপাত দেখা যায় না সেহেতু তাদের এরকম কাজকর্ম জবাবদিহিতার মধ্যে আনা প্রয়োজন।২০১৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশে এসে যদি একটি এলাকা ১২-১৪ ঘন্টা লোডশেডিং এ আটকে থাকা এটা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।কারণ এটা কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল নয়।চিটাগাং শহর থেকে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এমন খামখেয়ালি আর অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি মাত্র।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ