শপথ গ্রহণের পরই যা বললেন মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট

বিএন ডেস্কঃ
রোহিঙ্গা সমস্যাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে মিয়ানমার, এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট। আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা হচ্ছে তা মেনে নিলেও কেবল মিয়ানমারের জনগণের কল্যাণেই কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়ে কিছুই বলেননি নতুন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার শপথ গ্রহণের পর পার্লামেন্টে দেয়া উদ্বোধনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। মিয়ানমারের টেস্ট কাউন্সিলর অং সান সু চির ঘনিষ্ঠ সহচর উইন মিন্ট এ সময় গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার পক্ষেও কথা বলেন।
হঠাৎ করেই প্রেসিডেন্ট থিন কিউ-এর পদত্যাগে বুধবার মিন্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে সু চি'র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এন.এল.ডি দীর্ঘ সেনাশাসনের অবসানের পর নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। তবে এক বিদেশিকে বিয়ে করায় সাংবিধানিক বাধায় প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সু চি।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্তের শপথ
মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উ উইন মিন্ত গতকাল শুক্রবার শপথ গ্রহণ করেছেন। ইউনিয়ন পার্লামেন্টের অধিবেশনে তিনি এ শপথ নেন। এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পার্লামেন্টের স্পিকার উ মহন উইন খয়িং থানের উপস্থিতিতে নির্বাচিত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট উ মিন্ত সোয়ে ও নির্বাচিত দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট উ হেনরি ভান থিয়োও শপথ গ্রহণ করেন।
গত বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন সাবেক স্পিকার উইন মিন্ত। তিনি দেশটির বর্তমান স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত সপ্তাহে বিশ্রাম নেয়ার কথা বলে তিন চিয়াও পদত্যাগ করলে ৬৬ বছর বয়সী উইন মিন্তই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। এ লক্ষ্যে গত সপ্তাহে তিনি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
সু চির স্বামী ও সন্তান বিদেশী নাগরিক হওয়ায় সাংবিধানিকভাবে তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তার দল ব্যাপক বিজয় অর্জন করার পর থেকে তিনি স্টেট কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংবিধানিকভাবে তার এই পদের কোনো ভূমিকা না থাকলেও তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থেকেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা-নির্যাতন ইস্যুতে মিয়ানমার সরকার এখন সারা বিশ্বেই সমালোচিত হয়ে আসছে। সিনহুয়া
সূত্রঃ এন/ডি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ