বাঁশখালী ছাত্রলীগ অনেক বেশি সু-শৃংখল- এসএম বোরহান

মোঃ ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরীঃ
বাঁশখালী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের ৩য় দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম, বোরহান উদ্দিন বলেন, "বাঁশখালী এসেই বুঝতে পেরেছেন বাঁশখালী ছাত্রলীগ অনেক বেশী সু-সংগঠিত অনেক বেশি সু-শৃংখল"। 

বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, সুজলা সুফলা বাংলাদেশের ধারক বাহক, যে নেতাকে ঘিরে মহান মুক্তিযুদ্ধ গড়ে উঠেছিল, যিনি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিল, যিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিল, বিশ্বনেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর স্বরণে বক্তব্য শুরু করেন এবং সাথে সাথে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব খোরশেদ আলমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 


তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতিহাস ঐতিহ্যের সংগঠন, শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি'র সংগঠন। বাংলাদেশে যত আন্দোলন হয়েছে, যত ইতিহাস রচিত হয়েছে, সবখানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা আছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া সংগঠন। যখনি কোন বিপদ এসেছে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংঘঠনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় পাশে থেকেছে। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বপরি ওয়ান ১১ এর সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনসিকার্য। এই ছাত্রলীগের কর্মীরা ৫২ সালে তাদের রক্ত জড়িয়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষায় স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের একঝাক মেধাবী তরুণরা অস্ত্রহাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। ওয়ান ১১ এর সময় নেত্রী যখন জেলে ছিল, তখন নেত্রীকে একা রেখে অনেক বড় বড় রাগোববোয়াল নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। কিন্তু সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথরিয়া নেত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে সেই সেনাপতিদের সরকারকে বিতাড়িত করে নেত্রীকে আবার ক্ষমতার চেয়ারে বসিয়েছে। 


তিনি আরো বলেন, "আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে এই বাণিগ্রামে বিজয়ী মঞ্চে আলোচনা করতে পারে, মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সৈনিকরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে পারে, বাঁশখালীর মত এলাকায় শহর থেকে ত্রিশ মিনিটের মধ্যে আসতে পারে, ১লা জানুয়ারী স্কুলের ছাত্রদের হাতে বই পৌঁছে যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কলেজে না গিয়ে মোবাইলের মেসেজ বা অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারে, দশমাস দশ দিন গর্ভধারণী মাতৃদের কস্ট পেয়ে দূরে না গিয়ে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে, প্রভাসীরা ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনজনের চেহেরা দেখতে পারে। আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথরিয়া পর্যন্ত উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যায়, প্রতিটি ঘরে ঘরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, সংবাদ মাধ্যম স্বাধীনতা থাকে এমনকি সরকারের বিষদগারও করতে পারে। আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে মুক্তিযোদ্ধারা মাথা উঁচু করে বলতে পারে "আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি, সুজলা সুফলা এই দেশ আমার।" আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান থেকে শুরু করে নাতি-পতিদের চাকরীর ব্যবস্থা করে। আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে মা-বোনেরা রাত-দিন নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে, লোকজন রাত্রে বেলায়ও নির্ভয়ে ঘুরাফেরা করতে পারে ও ছাত্র-ছাত্রীরা নির্ভিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে। আমার নেত্রী যখন ক্ষমতায় থাকে বিদ্যুতের উন্নয়ন হয়, অজপাড়াও আজ বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হয়, বাঁশখালিতে এমন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে যাতে আমার নেত্রীর ছায়া আছে। আজ ২৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১০ টায় বাঁশখালী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের ৩য় দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বাঁশখালী ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

বাঁশখালী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের ৩য় দিনের অনুষ্ঠান বাঁশখালী বিজয় মেলা পরিষদের কো–চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। উক্ত বিজয় মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা অাওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চসিক ও চট্টগ্রাম মহানগর অাওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন ডঃ মাসুম চৌধুরী, এস.এম বোরহান, শেখ মোঃ মহিউদ্দিন শামীমা হারুন লুবনা, টুকু মিয়া, কাজমি প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ