নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁশখালী নিউজ:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৯নং গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামক ভূয়া প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এ বারের (পিএসসি) সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়,এ ব্যাপারে ২০ নভেম্বর সোমবার পূর্ব বড়ঘোনার আবু আহমদ সিকদার বাদী হয়ে সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের ভূয়া নামে ব্যবহার পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী আবু আহমদ সিকদার বলেন, গন্ডামারা পূর্ব বড়ঘোনা সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নাম দিয়ে এ বারের (পিএসসি) সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে অন্ততঃ ১০ জন ছাত্র/ ছাত্রী। মুলতঃ বর্তমানে ওই এলাকায় সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামের কোন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান নেই। এমনকি বিগত ৩০ বছরে ধরেও এই নামের কোন প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি বা কার্যক্রম চলতে দেখে নেই স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রভাবশালী হাফিজুর রহমান সিকদার তাঁর কথিপয় সহযোগীদের নিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ জন ছাত্র/ছাত্রী এই বারের (পিএসসি) সমাপনী পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করেন সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ভূয়া নাম ব্যবহার পরীক্ষা দিচ্ছে।
অভিযোগকারী আরো বলেন, এবারে ওই মাদ্রাসার নামে সমাপনী পরীক্ষায অংশ গ্রহণ কারী ছাত্র/ছাত্রীরা সবাই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তাদের পরীক্ষা সেন্টার বড় ঘোনা হাই স্কুল। পরীক্ষা সেন্টারে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করার জন্যে আমি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ করেছি এবং তদন্ত পূর্বক মাদ্রাসার ভূয়া নাম ব্যবহার কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করি।
অধ্য ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাঁশখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবু আহমদ সিকদার বাদী হয়ে ওই ভূয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন একই অভিযোগকারী আবু আহমদ সিকদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৮ নং ওয়ার্ডে সেনায়ত আলী সিকদার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামক কোন প্রতিষ্ঠান নেই।তা সত্বেও ওই মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে এবারের (পিএসসি) সমাপনি পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় হাফেজুর রহমানের সহযোগীতায় অন্তত ১০ জন ছাত্র/ ছাত্রী।আর মাত্র একটি পরীক্ষা বাকী আছে তাই আমি বাদী হয়ে ২০নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এবং ২৩ নভেম্বর আরো একটি অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দায়ের করেছি।
অভিযোগদ্বয়ে অস্থিত্বহীন মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে ভূয়া পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি পরীক্ষা সেন্টার সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করার জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিটক আবেদন করেছেন বলে জানান অভিযোগকারী আবু আহমদ সিকদার।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠেফোনে বার বার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
0 মন্তব্যসমূহ