বাঁশখালীর ১১ হত্যা ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সংখ্যালঘু হত্যার বিচার শেষ হয়নি!

প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছেন, দ: দক্ষিণ জেলা আ'লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম
 মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ায় ১১ হত্যা। ২০০৩ সালে ১৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে ৪ দিনের শিশু সহ ১১ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকান্ডের কোন কূলকিনারা হয়নি।
তাছাড়া ওই মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরীর প্রভাবশালী মহলের পায়তারায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী বিমল শীলের। তাছাড়া এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক নিহতের পরিবারকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার করেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এ ঘটনার ১৪ বছর ফুর্তি উপলক্ষে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে নিহতের পরিবার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, দক্ষিণ জেলা ন্যাপের সভাপতি ডা. আশিষ কুমার শীল, বাঁশখালী পূজা পরিষদের সভাপতি প্রদিপ গুহু সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেত্ববৃন্দ।

নিহতদের সমাধী স্থলে পুষ্পমাল্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন
এ উপলক্ষে নিহতদের সমাধী স্থলে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন।  শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে বিভিন্ন সংঘটনের নেতাকর্মীরা বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্ঠান্তমূল শাস্তি দাবী করেন।
সাধনপুর ১১ হত্যার ১৪ বছর ফুর্তি উপলক্ষে স্মরণ সভায় উপস্থিতি অতিথিবৃন্দ
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ১৮ নভেম্বর সাধনপুর ইউপির শীলপাড়া গ্রামের তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়ীর চতুর্দিকে ঘিরে দরজা জানালা বন্ধ করে র্দায্য ও তরল পদার্থ দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে দুর্বৃত্তের দল। বাড়ীর মধ্যে থাকা ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যই পুড়ে আঙ্গার হয়ে যায়। বাড়ীর একমাত্র সদস্য মামলার বাদী বিমল শীল ঐদিন কোন রকম নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়। ঘটনার পর তৎকালীন ভারতের হাই কমিশনার সহ বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছিলেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী এ মামলায় রাষ্ট্রীয় খরচে বহন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। বর্তমানে মামলার বাদী বিমল শীল অভিযোগ করে বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশ প্রশাসন। এ মামলায় ৩ বার প্রধান আসামী আমিনুর রহমান চৌধুরীকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল আদালতে।
বাদীর নারাজীর পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ চট্টগ্রাম জেলার সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার লাসিং প্রু আমিনুর রহমানকে অভিযুক্ত দেখিয়ে অভিযোগপত্র দায়ের করে। ৫ বছর পূর্বে মহামান্য হাইকোর্টে আমিনুর রহমান মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছেন বলে জানান মামলার বাদী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ