সাইবার মামলায় বাঁশখালী থানায় কাউন্টার টেররিজমের নোটিশ গোপন


গাজী গোফরানঃ গত ১১ জুলাই (মঙ্গলবার) 'জাতীয় অর্থনীতি'র শেষ পাতায় প্রকাশিত "বাঁশখালীতে এসআই শহীদের যত অপকর্ম, অভয়দাতা ওসি কামাল" শিরোনাম এবং "মহিলা পুলিশ ব্যতীত দিনদুপুরে নারীকে টেনে হেঁচড়ে গাড়িতে উঠালেন ২ পুরুষ" উপ শিরোনামের সংবাদের ভিকটিমের মা জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে সাংবাদিক মোঃ মনছুর আলম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাইবার মামলা দায়ের করেন। ঐ সাইবার পিটিশন মামলা নং- ৩৮৯, তাং- ১১/০৭/২৩ইং এর তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজমের এসআই জুলফিকার হোসেন ৪ জন বিবাদী বরাবরে ১৭ আগস্ট নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ গুলো বাঁশখালী থানাধীন রামদাস মুন্সিহাট ফাঁড়ির এসআই শহীদ গোপন করেন বলে জানা যায়। নোটিশে ২২ আগস্ট বিবাদীকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বললেও কালক্ষেপণ করে আজ ২৫ আগস্ট মামলার বিবাদী আসিফ ইকবালের বড় ভাই মোঃ রাসেদুল হক এর কাছ থেকে জোরপূর্বক নোটিশে স্বাক্ষর নেন রামদাস ফাঁড়ির এএসআই জ্ঞানময় চাকমা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত বছরখানেক থেকে বাঁশখালী নিউজের প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মনছুর আলম এর সাথে বাঁশখালী থানা পুলিশের লঙ্কাকাণ্ড চলে আসছে। এসবের তদন্ত অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোর্টার পর্যন্ত গড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিক ঘটনা হিসাবে রামদাস হাট মুন্সি ফাঁড়ির এসআই শহীদ ঐ সংবাদের ভিকটিম শারমিনের মাতা জেসমিন আক্তারকে বশে নিয়ে গত ১১ জুলাই মিথ্যা ভিত্তিহীন সাইবার পিটিশন মামলাটি দায়ের করেন। বাদী জেসমিন আক্তারের এক বক্তব্যে এসআই শহীদের প্ররোচনায় মামলাটি দায়ের ও নোটিশ গোপনের বিষয়টি উঠে আসে।

বিবাদী আসিফ ইকবালের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর ১২টার পর একটা কাগজ নিয়ে এএসআই জ্ঞাণময় চাকমা আরেকজন কনস্টেবল সহ আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাই আসিফ ইকবালকে খোঁজ করেন। তাকে না পেয়ে দোকানে থাকা আমার বড় ভাই মোঃ রাসেদুল হককে ঐ কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এতে তিনি অপারগ দেখালে লোকজনের সামনে গালাগাল করে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরপূর্বক টানাটানি করলে অপারগ হয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয় সাংবাদিক মোঃ মনছুর আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা হয়েছে সেটা অনেক আগে থেকেই আমি শুনেছি। তবে কি কারণে মামলা হল এবং কোথায় তদন্ত করছেন কিংবা কোন নোটিশ করছে কিনা তা জানতাম না। আমি পরে আনফিসিয়ালি ভাবে জানতে পেরে কাউন্টার টেররিজমে যোগাযোগ করে গত ২৩ আগস্ট উপস্থিত হই। মূলত রামদাস মুন্সি হাট ফাঁড়ির এসআই শহীদ একেরপর এক অনিয়ম করে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেই চলছে। সেই সাথে বাদী জেসমিনকে প্ররোচনা দিয়ে আইসিটি মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতেও পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের কপি ও তথ্যপ্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। তার এমন অপকর্মে সে কখনো একজন পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা হতে পারে না, বরং সে পুলিশের ট্যাগ ব্যবহার করে নিজ স্বার্থ উদ্ধার ও বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত। তার পেছনে মদদ দাতা কারা, তা খতিয়ে দেখে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবী।

এব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই জ্ঞাণময় চাকমা বলেন, আমার হাতে আসিফ ইকবালকে প্রদানের জন্য কাউন্টার টেররিজম এর একটা নোটিশ আসছে। তাই আসিফ ইকবালকে বাড়ীতে না পেয়ে তার ভাই রাশেদুল হকের হাতে দিয়েছি। নোটিশে উপস্থিত হওয়ার জন্য ২২ আগস্ট উল্লেখ থাকলেও আপনি ২৫ আগস্ট নোটিশ প্রদান করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা থেকে নোটিশটা আমার হাতে আজ আসছে তাই আমি আজই প্রদান করছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ