দলীয় কর্মী বা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান না হয়েও মামলার আসামী ছাত্রদল নেতা হেলাল, আজ জামিনে মুক্ত

খানখানাবাদ প্রতিনিধিঃ  
বাঁশখালীতে মুক্তিযুদ্ধাদের উপর হামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জড়িয়ে দেওয়া মামলা থেকে জামিনে মুক্ত ছাত্রদল নেতা হেলাল উদ্দীন। 

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দলীয় কোন্দল নিয়ে সংসদ সদস্যের মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে  মুক্তিযুদ্ধাদের অবমানানা ও বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী চট্টগ্রামে বাঁশখালীর কৃতি সন্তান গেরিলা কমান্ডার মৌলভী ছৈয়দের বড় ভাই মুক্তিযুদ্ধা অালী অাশরাফকে মৃত্যুকালে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার কারণে গার্ড অব অনার দিতে ব্যর্থ হয়। প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ সন্তান কমান্ড গত ২৪ই অাগষ্ট ২০২০ তারিখে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সেখানে হঠাৎ অাওয়ামী দলীয় কিছু লোকজন মিছিল সহকারে এসে মুক্তিযুদ্ধা ও সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে প্রায় সাংবাদিক সহ ১০/১২ জন অাহত হন। ঘটনার বিষয়ে কোতোয়ালী থানার মামলা নং ৫২(০৮)২০২০ইং, ধারাঃ ১৪৩, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৪২৭/৫০৬ ধারায় মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। উক্ত মামলা ছাত্রদর নেতা মোঃ হেলাল উদ্দীনকে ২১ নং অাসামী হিসাবে এজাহার ভুক্ত করিয়াছেন। 

তিনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোস্যাল মিডিয়া তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর খবর জানতে পেরে তিনি অদ্য ০৩ ই সেপ্টম্বর ২০২০ তারিখে মাননীয় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট অাদালত, চট্টগ্রামে অাইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া অাত্মসমর্পন পূর্বক জামিনের অাবেদন করিলে অাদালত তাহাকে একজন জামিনদার ও ১০০০/- টাকার বন্ডে জামিন প্রদান করেন। এই সময় তার পক্ষে অাইনজীবী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মফিজুর রহমান, এডভোকেট তৌহিদুল অালম মাসুদ ও এডভোকেট শাকেরুল ইসলাম শাকিব। 

এই ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার অাহ্বায়ক এডভোকেট তৌহিদুল অালম মাসুদ বলেন মোঃ হেলাল উদ্দীন একজন ছাত্রদলের সক্রিয়া কর্মী এবং অাওয়ামীলীগ বা মুক্তিযুদ্ধার সন্তান নয়। তাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করার জন্য একটি অাওয়ামী দলীয় কু চক্রী মহল  ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং পারিবারিক ও রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করার জন্য অত্র মামলায় জড়িত করিয়াছে। তিনি ঘটনার সময় বাঁশখালীতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজির ছিলেন। 

এই ব্যাপারে মোঃ হেলাল উদ্দীন বলেন অামি কখনো অাওয়ামী নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করিনি এবং অামি নিজেও মুক্তিযুদ্ধার সন্তান নয়। অামি শহীদ জিয়ার অার্দশে বিএনপি'র রাজনীতিকে ভালবেসে দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। সুতরাং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে হামলায় অামি জড়িত থাকার প্রশ্নই অাসেনা। অামি ঐদিন অামার নিজ এলকায় অামার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। তিনি এই মামলায় খালাস পাওয়ার অাশাবাদ ব্যক্ত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ