এমপি মোস্তাফিজ করোনায় আক্রান্ত, স্ত্রী ও মেয়েসহ আরো ১০ জনের পজেটিভ

নিউজ ডেস্কঃ
প্রথম বারের মতো চট্টগ্রামে একজন সংসদ সদস্যের (এমপি) শরীরে কোভিড-১৯ (করোনা) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি বাঁশখালী আসনের এমপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ছাড়াও তার স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক মেয়ের জামাইসহ পরিবারের সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। 

এছাড়া এমপির এপিএস (ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী) এবং বাসার তিনজন কাজের মেয়েরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাংসদের এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য এমপির পরিবারের সবাই শহরের বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এপিএস-এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১ জুন এমপির শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। ২ জুন বিআইটিআইডির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এমপিসহ মোট ১১ জনের করোনা পজেটিভ আসে। কিন্তু খুব সম্প্রতি এমপি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বের হননি। আর সরকার ২৫ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়ির চালকদেরও ছুটি দিয়ে রেখেছেন। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়েছে। তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি তিনি।

সর্বশেষ ১৪ মে জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সভায় যোগ দেন। এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সবধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এরপরও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে, ঈদের আগে নিজের এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। শহরেই ঈদ করেছেন। তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন সাংসদ। 

সাংসদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন সাংসদের স্ত্রীর ছোট বোন (শালী) তাঁর ছেলেকে নিয়ে সাংসদের শহরের বাসায় আসেন। এর দুদিন আগে শালীর শরীরে জ্বর আসে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। সবাই উনার মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে এমপির পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন। যদিও সাংসদের শালীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। পরবর্তীতে আক্রান্তদের ২য় দফায় নমুনা দেয়ার সময় উনার (সাংসদের শালীর) নমুনা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান সাংসদের এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল। 

তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে স্যার (সাংসদ) ভালো আছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। সিভিল সার্জন মহোদয় খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন। প্রয়োজনে যাতে ব্যবহার করা যায়, বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রাখা হয়েছে। স্যার (সাংসদ) সবার কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল।
/আজাদী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ