সাধনপুরে আম পাড়া কে কেন্দ্র করে মারামারিতে আহত ১০

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী  উপজেলার সাধনপুর সওদাগর পাড়ায় আম পাড়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে ২পক্ষের তুমুল মারামারিতে মোহাম্মদ নুরুন্নবী (৪২),মোস্তফা বেগম (৪৮),নুরুল কাদের(৪০),নরুল আবছার (৩৫), বদিউল আলম (৩৭), ফিরোজা বেগম (৫০), রফিকুর রহমান (১৮),শারমিন আক্তার (২০), আজিজুর রহমান (২৩), মজল আহমদ (৬৫) ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

গুরুতর আহত ১০ জনের মধ্যে মোস্তফা বেগম নামের  ১ জনের অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে জানা যায়। প্রথমবার এলাকাবাসী দ্বিতীয়বার পুলিশসহ এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের বাঁশখালী  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে আহত মোস্তফা বেগমের অবস্থা আশংখাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন বলে জানা যায়।

গতকাল সন্ধ্যা ৫ঃ ৫০মিঃ ও রাত আনুমানিক ১টাঃ সময় বাঁশখালী উপজেলার ২নং সাধনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড় এলাকায় আম পাড়ার বিষয় নিয়ে মারামারির এ ঘটনা ঘঠে বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়ন সওদাগর পাড়া এলাকায় শফিকুর রহমান গং ও আহমদ হোসেন গংদের নিয়মিত সু-সম্পর্ক ছিল হঠাৎ করে কি বিষয় এই হিংসাত্মক আচরণ শুরু করলো
বুঝা যাচ্ছে না ।

 গতকাল আহমদ হোসেনের ছেলে আম পাড়ার উদ্দেশ্যে  আম গাছে উঠলে, ঐ দিখে শফিকুর রহমানের নাতনী সাদিয়া আফরিন (৩) বছরের মেয়েটি তাদের ঘরের দরজায় সামনে বসেছিলেন বলে শুনতে পায়,টিক ঐ মূহুর্তে শফিকুর রহমানের উঠানে একটি আম এসে পড়লে সেই আম নিতে গেলে আম গাছে অবস্থান করা লোকটি গাছ থেকে লাঁঠি ছুড়ে  মেরে পায়ে আঘাত করার বিষয় টি নিয়ে মেয়েদের মধ্যে  এক পর্যায়ে কথা কাটা কাটি সৃষ্টি হয়, সেই কথা কাটা কাটির রেশ নিয়ে  উভয় পক্ষের মারামারি সংঘটিত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

এবিষয়ে  শফিকুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ নুরুন্নবীর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার ভাতিজি আমাদের ঘরের দরজায় বসে খেলা করতেছে সেই মূহুর্তে হঠাৎ একটি আম এসে আমাদের উঠানে পড়ে, সেই আমটি আমার তিন বছরের ভাতিজি নিতে গেলে গাছ থেকে  হঠাৎ করে লাঠি ছুড়ে মেরে আমার ভাতিজির পায়ে আঘাত করলে পা ফোলে গেলে প্রাথমিকভাবে বরফ ও ঔষুধ লাগিয়ে পা বেতা কমায়,পরে সেই ভাতিজিটি কে নিয়ে আমি আমার দরজায় বসে লেচু খাবাচ্ছি সেই মূহুর্তে হঠাৎ করে আমার বোন আর আমার উপর ইট মারা শুরু করে আহমদ হোসেনের পরিবারের সকল সদস্যরা এক পর্যায়ে আমার মাথা ও আমার বড় বোনের বুকে মাথা পেটে গেলে

স্থানীয়রা আমাদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমার বড় বোন মোস্তফা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন,আমার মাথায় এগার সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমি বাড়ি ফিরে আসি, এখন রমজান মাস সেই হিসেবে  আমার এলাকার দোকান পাড়ে বসে আছি,এমন অবস্থা ১টায়  দ্বিতীয় বারের মতো সাতকানিয়া ছনখোলা এলাকার লোক জন এনে আবার আমাদের ঘরে হানা দিলে ঘটনাস্থলে আমার ছোট ভাই নুরুল খাদেরকে মাথা পেটে দেয়,  নুরুল আবছার পিঠে আঘাত করে,এবং বদিউল আলমকে হাতে আঘাত করে,এবং বদিউল আলম কে গাড়ি নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার দিখে গেলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে আছে বলে জানান।

এবিষয়ে আহমদ হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমানের সাথে  ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের আম গাছে,আমার ছোট ভাই আম পাড়তে গাছে উঠে এক পর্যায়ে আম পাড়া শুরু করলে আম গাছটি শফিকুর রহমানের বিটার পাশে হওয়াতে তাদের জায়গায় পড়েছে কেনো এই বিষয় কে কেন্দ্র করে আমাদের উপর হামলা করেছে ,ঘটনায় আমার ছোট ভাই রফিকুল রহমান গুরুতর আহত হলে তাঁকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, অবস্থা ভালো না হওয়াতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন আর তারা যাহা বলতেছে সব মিথ্যে বানোয়াট বলে জানান।

উক্ত মারামারিতে আহতরা হলেন মোহাম্মদ নুরুন্নবী (৪২),মোস্তফা বেগম (৪৮),নুরুল কাদের(৪০),নরুল আবছার (৩৫), বদিউল আলম (৩৭), ফিরোজা বেগম (৫০), রফিকুর রহমান (১৮), শারমিন আক্তার (২০), আজিজুর রহমান (২৩), মজল আহমদ (৬৫।এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি শুনছি আম পাড়ার বিষয় নিয়ে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে, যখন  আম পাড়ার বিষয় নিয়ে যে সমস্যাটি  সন্ধ্যায় হয়েছিল সেই মুহূর্তে উভয় পক্ষের তিনজন করে ইনজুরি হয়েছে বলে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে সামাজিকভাবে সমস্যাটি সমাধান করা হবে জানালে উভয় পক্ষ রাজি হয় পরে যে যার স্থানে চলে যায়,

হঠাৎ রাত অনুমানিক ১ টার সময় দ্বিতীয় বারের মতো আবার উভয় পক্ষ উক্ত ঘটনার ইস্যু নিয়ে পুনরায় মারামারি শুরু হয়েছে খবর শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখতে পাই,মোহাম্মদ নুরুন্নবীর ঘরের গেইটের সামনে লাঠিসোটা নিয়ে একজন আর একজনকে আঘাত করতে দেখে,উভয় পক্ষের মারামারি চলাকালীন অবস্থায় ভিতরে প্রবেশ করে ঘটনা শান্ত করার চেষ্টা করতে গিয়ে ঘটনা ক্রমে আমি নিজেও ইনজুরি হই,ঘটনা অবস্থা বেগতিক দেখে রামদাস ফাঁড়ির পুলিশকে ফোন করলে, এএসআই মুনাফসহ পুলিশ ফোর্স এসে লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে দাওয়া করলে উক্ত মারামারির ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এনে আহত ব্যক্তিদের  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়,পরে রামদাস হাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই খোরশেদ সাহেব  ঘটনাস্থ পরিশর্দন করে উভয় পক্ষকে আর কোন ঘটনা না করার কথা বলে সকালে রামদাস হাট পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়ার জন্য বলে যান বল জানান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ