কালীপুর বাসীর সাহায্যে এগিয়ে আসলেন ইউনিয়ন ব্যাংকের এম.ডি.মোকাম্মেল হক চৌধুরী আলাল

মোহাম্মদ এরশাদঃ
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস নামে মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মানুষ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে ঘর বন্দী হয়ে আছে, এই অবস্থায় হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন খাদ্য সামগ্রী অভাবে পড়ে যায়, তাদের এই অসময়ে সরকারের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী ও মাহে রমজান উপলক্ষে রোজার ইফতার সামগ্রী হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাঁশখালীর কৃতি সন্তান ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি এ. বি. এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী (আলাল)।

আজ (১৪মে) বৃহস্পতিবার ৫নং কালীপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এডভোকেট আ.ন.ম.শাহাদত আলমের তত্ত্বাবধানে কালীপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে এই খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এই সময় উপস্থিতি ছিলেন এ. বি.এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী আলালের পক্ষ থেকে আশেক এলাহি সোহেল,মোক্তার,আহমদ উল্লাহ,শেকুল,শুভসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


 এই সময় বাঁশখালী চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও ৫নং কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আ, ন,ম শাহাদত আলম বলেন বাংলাদেশ সহ বিশব্যাপী চলমান দুর্যোগ বা এ ক্রান্তিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে যেমন একদিকে দেখতে হচ্ছে করোনা রোগীর চিকিৎসা সহ আনুষাঙ্গিক যাবতীয় ব্যবস্থাপনা তেমনি পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষের জীবিকা,অভাবগ্রস্থ মানুষের প্রতিদিনের আহার সহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি।এমন পরিস্থিতিতে সরকার বা আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতার পরও কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে সবার চাহিদা পুরনে।ধারাবাহিকভাবে সরকারের সহযোগীতা অব্যাহত থাকলেও মানুষের চলমান অভাবের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই ।আর এই সময় যদি মানবতায় এগিয়ে আসেন সমাজের বিত্তবান বা সামর্থ্যবানরা তাহলেই কাজটা  আরো বেগবান হয়।দুঃখ নিয়ে আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি-আমাদের বাঁশখালীতে বা আমাদের সমাজেও অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি বা বড়লোক আছেন কিন্তু এই দুর্দিনেও দুই একজন ছাড়া বড় মন নিয়ে এগিয়ে আসা দৃশ্যমান হয়নি। এই দুঃসময়ে না আসলে আর কখন আসবেন আপনারা? প্রশ্নটা আপনার বিবেকের কাছেই ছেড়ে দিলাম! যারা এসেছেন তাদের ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই ।

তিনি আরো বলেন সম্প্রতি যে ব্যক্তিটি এই ক্রান্তিকালীন সময়ে কালীপুরবাসীর পাশে দাড়িয়ে আমাকে ও আমার এলাকার  হতদরিদ্র মানুষকে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেছেন তিনি শুধু বাঁশখালীর কৃতিসন্তান ই নন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতের খুব পরিচিত এবং প্রশংসনীয় নাম,আমার খুব প্রিয়জন ইউনিয়ন ব্যাংকের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি.এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী আলাল।তিনি কালীপুরবাসীর জন্য সম্মান জনক ত্রান বা সহযোগীতা আমার কাছে পাঠিয়েছেন।যা আমি ইতিমধ্যে যথাযথ প্রাপ্যদের হাতে দিতে পেরেছি।তিনি ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে আরো সহযোগীতার আশ্বাস আমার কাছে ব্যক্ত করেছেন। আমার ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এমডি এ. বি. এম. মোকাম্মেল হক চৌধুরীকে।এভাবেই যদি সরকারের পাশাপাশি বড় মন নিয়ে বিত্তবান বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে আসেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা এই দুর্যোগ ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে পারবো।তাই আমি আবারও সমাজের বৃত্তবানদের আহবান জানাচ্ছি, এক বেলা খাবার নিয়ে হলেও আপনার পাশের অসহায় মানুষটার  পাশে দাড়ান যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে। করোনার প্রাদুর্ভাব যে হারে বাড়ছে এই সময় সবাই চেষ্টা করি অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে-ঘরেই নিরাপদ থাকতে।আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।পরিশেষে আবারও ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. বি. এম. মোকাম্মেল হক চৌধুরী আলালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহাদাত আলম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ