বাঁশখালীতে নিয়মিত চলছে নমুনা সংগ্রহ, এই পর্যন্ত সংগ্রহ ৫৮

মোহাম্মদ এরশাদঃ
বাঁশখালী উপজেলায় নিয়মিত চলমান রয়েছে করোনা ভাইরাস'র(কোভিড-১৯) সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহের কাজ। অাজ খানখানাবাদ ইউনিয়ন থেকে ১ জন, বাহারছড়া ইউনিয়ন থেকে ১জন, পৌরসভা থেকে ২ জনসহ একজন চিকিৎসকের সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই পর্যন্ত মোট ৫৮ টি  নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ইপিঅাই জয়নুল অাবেদিন বলেন-মান্যবর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার নিদর্শনায় প্রতিদিন মাঠ পর্যায় থেকে সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। তারপর সংগ্রহকৃত নমুনাগুলো এ্যাম্বুলেন্সযোগে বিঅাইটিঅাইডিতে প্রেরণ করি। অাজকে মোট ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

সন্দেহভাজন রোগীর এক স্বজন জানান - অামার বড় ভাইের গত ২ দিন ধরে জ্বর ছিল গতকাল রাতে এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করলে হাসপাতালের টীম এসে অাজকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ল্যাব পরিতোষ বড়ুয়া বলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক নমুনা সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। অাজ পর্যন্ত মোট ৫৮ টি রোগীর নমুনা সংগ্রহ করি।

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিউর রহমান মজুমদার বলেন-সম্প্রতি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মী ও সিএইচসিপিরা খোঁজ খবর নিচ্ছে। গতকাল থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে সন্দেহভাজন রোগীদের অধিক নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যে ৪০ জন সিএইচসিপিরা কাজ করছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অামাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে এবং পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই, গ্লাভস, মাক্স, হেক্সিসল, পেইজ স্লাইড) মজুদ রয়েছে। ইতোপূর্বে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অাওতাধীন ছনুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত সহকারী সার্জন ডাঃ অাসিফুল হক করোনা ভাইরাসে(কোভিড-১৯) অাক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অাইসোলেশন ওর্য়াডে চিকিৎসা নিচ্ছে। জানা যায় অাক্রান্ত চিকিৎসকের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। ইতোমধ্যে অাক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকা অাত্মীয় স্বজনসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা দিছে বলে জানা যায়। তিনি আরও বলেন এই মহামারী দমনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন,খাছ করে সংবাদ কর্মীদের বস্তুনিষ্ট সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে, আমারও আপনাদের সহযোগিতা করবো, আমি নমুনা সংগ্রহ কারীদের সাথে মাঠ পর্যয়ে পরিদর্শননে যাই তাদেরকে সাহস যোগাতে হবে, যাতে তারা ভেংগে না পড়ে, আপনাদেরকেও সঠিক তথ্য তুলে ধরে তাদের উৎসাহিত করতে হবে, কারো কাছে শুনে তা নিয়ে আন্দাজে রিপোর্ট করে তাদের মনোবল ভেঙ্গে দিলে তাদের চেয়ে মানুষের অনেক ক্ষতি হবে  বলে তিনি মন্তব্য করেন।করোনাভাইরাসের অাতঙ্কে দেশে দেশে আত্মীয়-অনাত্মীয় দূরে সরে যাচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে দূরে থাকা। সামাজিক দূরত্ব এই রোগ প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃত। তবে এই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে গিয়ে অনেকে অমানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। পিতাকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে সন্তান; পরিবার।অসুস্থ পিতাকে মাঠের মাঝখানে রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মৃত স্বজনের লাশ রাস্তাায় রেখে চলে গেছে আত্মীয়রা। পরিবার খবর নেয়নি। অবশ্য এর বাইরে অন্য দৃশ্যও আছে।না তারা কেই ডাক্তার বা নার্স নয়। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নন মেডিক্যাল কর্মচারী। জাতীয় প্রয়োজনে আজ তারা করোনা সংক্রমণে  ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে করোনা সাস্পেক্টেড রোগীর স্যাম্পুল কালেকশনের দায়িত্ব পালন করছে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ল্যাব পরিতোষ বড়ুয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ