বাঁশখালীতে আ.লীগ নেতা’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড়

মোহাম্মদ এরশাদঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সমালোচনা করায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ফেইসবুকে। জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা’র সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদু রশিদসহ কয়েক জন আওয়ামী লীগ নেতা’র সমালোচনা করে অজ্ঞাত ফেইসবুক থেকে একটি পোষ্ট করেন, পোষ্টটি স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মী’র দৃষ্টি হলেই তারা প্রতিবাদ শুরু করেন।
এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ মোহাম্মদ রহিম জানান, সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদু রশিদ ভাই দলের জন্য বহু ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা, তিনি দুসময়ে রাজপথে ছিলেন এবং তিনি সেখান থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগ নেতা, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করার মত  কোন কাজ করেন নি, তিনি সবসময় দলের তৃনমূল নেতা-কর্মী’র সাথে আলাপ আলোচনা করে দলের জন্য কাজ করেন, আমাদের সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি নৌকা প্রতীকের প্রতিটি নির্বাচনে ইউনিয়নের পাশা-পাশি সারা বাঁশখালীতে দলের জন্য কাজ করেন।
এমডি মুজিব নামের এক বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগ নেতা তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক পোষ্টে উঠে আসে সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদু রশিদের জীবনের কিছু তথ্য। পোষ্টটি হলো, নৌকার জন্য জীবন বাজী রাখা, ২ নং সাধনপুরের নৌকা বিজয়ের যার সবচেয়ে বেশি অবদান, সারা রাত যিনি মেশিনের মত আমাদের তৃনমুলকে সহযোগিতা করেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার জন্য সব ধরনের কৌশল আমাদের দেখিয়েছেন , সাধনপুর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সাদু রশিদ ভাইকে অনুপ্রবেশ কারী মিথ্যাচার করার মত দুঃস্বাদ্ধ্য করার বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সাদু রশিদ ভাই যাদের সহযোদ্ধা হিসেবে রাজনীতি করেছে তারা এখনো জীবিত, বাহারছড়া ইউনিয়নের নুর আলম ভাই,কালীপুর ইউনিয়নের সরওয়ার কামাল,জলদীর নুর হোসেন,বাহারছড়া মরহুম আশরাফ আলী, এদের হাত ধরে ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, এরশাদ হঠানো আন্দোলনে চল চলো ঢাকায় চলো,বাশঁখালী থেকে যে সকল ছাত্রলীগ নেতা ঢাকায় গিয়েছিলো,তারা হলো সরওয়ার কামাল,নুর হোসেন, বাবুল,আমানু উল্লাহ চৌধুরী, সাদুর রশিদ, ভি পি,ই লিয়াস,  ঢাকায় উক্ত আন্দোলনে আজকের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আন্দোলন করতে ওনার গাড়ী নিয়ে রাস্তায় আসলে,জাতীয়-পার্টির পেটুয়া বাহিনী ও তৎকালীন পুলিশ প্রধান মন্ত্রীর গাড়ীর দিকে আসলে,বিভিন্ন জেলা থেকে আসা, ছাত্র লীগ,যুবলীগের নেতা কর্মীরা প্রধান মন্ত্রীর গাড়ি চারপাশে অবস্থান নিয়ে ধীরে ধীরে নেত্রীর গাড়ি প্রেস ক্লাবের দিকে নিয়ে যায়,ইতি মধ্যে আন্দোলন কারীদের মধ্যে একজনের খালি গায়ে সামনে ও পিছনে লিখা ছিলো, সৈরাচার নিপাক ঝাক,গণতন্ত্র মুক্তি পাক,তাকে বিল্ডীং এর উপরে থেকে গুলি করে, যার নাম নুর হোসেন বাবনু,সে দিন বিকেল বেলা সিনিয়ার নেতৃ বৃন্দরা নির্দেশ দেন আপনাদের স্ব স্ব উপজেলা গিয়ে আন্দোলন করেন,সে নির্দেশ মতে বাশঁখালীতে এসে সবাই আন্দোলন করেন,এই যাবৎ কাল ধরে বিভিন্ন আন্দোলনে সাদুর রশিদ ভাই ভূমিকা রেখে আসিতেছে।

ওনার পিতা মরহুম মোজাফফর আহমদ ও আওয়ামীলীগে নিবেদিত প্রাণ এবং দীঘদিন ২নং সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক থাকা  অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন ১৯৮৮ সালে, মরহুম সোলতানুল করিব চৌধুরী জীবিত অবস্থায় তৎকালী বাশঁখালী উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী,সাধারণ সম্পদক আবদুল গফুর চৌধুরীর কমিটিতে,সাদুর রশিদ  দক্ষতার সহিদ ২নং সাধনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পদক এর দায়িত্ব পালন করে আসিতেছে,এই হইতে বুঝা যায় সাদুর রশিদ অনুপ্রবেশকারীর হলে নুর আলম, সওয়ারা কালাম , নুর হোসের ,আমানু ,গফুর, এরা ও অনুপ্রবেশ কারী হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ