বাঁশখালীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে অসংখ্য ক্লিনিক ভরসা পৌর ট্রেড লাইসেন্স।

মোহাম্মদ এরশাদঃ
চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে ব্যাঙেঁর ছাতার মতো গড়ে উঠছে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে লেখা আছে সার্বক্ষনিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ধরা চিকিৎসা দেওয়া হয়, বাস্তবে দেখা যায় কোনোটিতেই সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন না,কিছু পল্লি চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে রুগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের বিল বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়,  নেই প্রশিক্ষিত সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট। ভুল চিকিৎসার ঘটনা ঘটছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রক্ত, মলমূত্র, কফসহ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন অদক্ষ কর্মীরা। তাই প্রায়ই এসব পরীক্ষার বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেবা নিতে এসে রোগীরা নানাভাবে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের সামনেই পাল্লা দিয়ে কোনো অনুমোদন ছাড়ায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসংখ্য ক্লিনিক গড়ে ওঠেছে। ক্লিনিক গুলো পরিদর্শন করে দেখা যায় অফিসে টাংগানো পৌরসভার ট্রেড় লাইসেন্স একমাত্র ভরসা। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন, ২০১০ অনুযায়ী যেকোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও রোগনির্ণয়কেন্দ্রের নিবন্ধিত হওয়ার আগেই পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে আইন অনুযায়ী কোনো বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল বা রোগনির্ণয়কেন্দ্র অনুমোদন পেতে পারে না। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলার ক্লিনিক ও রোগনির্ণয়ের কেন্দ্রেগুলোর কয়েকটি এপ্লাই করেছে, আমরা শিগগীরই পরিদর্শনে যাবো ওখানে গেলে সবগুলো দেখে অনুমোদন ছাড়া পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহন করবো বলে তিনি জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ