ভোলা-লক্ষীপুর রু‌টে নিরাপদ ও অবাধ নৌযান চলাচ‌লের দা‌বি‌তে মানববন্ধন

মুহাম্মদ ম‌হিউ‌দ্দিনঃ
চট্টগ্রাম মহানগর প্র‌তি‌নি‌ধি  : ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও রামগতি দৌলতখান নিরাপদ নৌ পথে যাত্রী সাধারণের সীমাহীন কষ্ট লাঘবে লক্ষ্মীপরের মজু চৌধুরী ঘাট ও ভোলার ইলিশাঘাটকে “নদী বন্দর” হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামে বসবাসরত ভোলার জনসাধরণ।৩১ আগষ্ট শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এতে ভোলা জেলা সমিতি – চট্টগ্রাম এর সভাপতি আলহাজ্ব জহুর আহমেদ সওদাগরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক সদস্য ড. এম.মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ।
সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কিরন শর্মা ও প্রকৌশলী মনোজ কুমার দে এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দ্বীপ জেলা ভোলায় রয়েছে দেশের বৃহত্তম শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড। তাছাড়া এরই মধ্যে আরো দুইটি গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। এই জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৭টি উপজেলা, ৯টি থানা ও ৫টি পৌরসভা রয়েছে। পলিমাটির দেশ ভোলায় ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ রণাঙ্গনের যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামালের জন্ম ভোলা জেলায়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আভ্যন্তরীণ রাস্তাঘাটের ও অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হলেও নৌ-পথে তেমন কোন উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়নি।
তারা বলেন, জেলার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলেও দেশের মূল ভূখন্ড এবং রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যোগাযোগের জন্য বিস্তৃত নৌ-পথ রয়েছে। নৌ-পথগুলোর মধ্যে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট হতে ভোলা ইলিশাঘাট। এ পথে ফেরী সার্ভিস এবং লঞ্চ ও সী ট্রাক দিয়ে মানুষ উত্তাল মেঘনার ঢেউয়ের মাঝে যাতায়াত করে থাকে।
তারা আরো বলেন, নৌপথে শুধু মাত্র ভোলা-লক্ষ্মীপুরের মানুষ যাতায়াত করেনা। দক্ষিণাঞ্চলে ১৭ জেলার মানুষ এ নৌপথে যাতায়াত করে থাকে কম দূরত্বের জন্য। তবে যাতায়াতে যাত্রী সাধারণের সীমাহীন ভোগান্তি। মজু চৌধুরী ঘাট থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত লঞ্চ,সী ট্রাক ও ফেরী চলাচলে প্রতিনিয়ত বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে চর জেগে উঠার কারণে। লঞ্চ ও সী ট্রাক টার্মিনালে সব সময় না আসার কারণে ছোট নৌকা কিংবা ট্রলারে করে মেঘনা নদীর মাঝখানে কিংবা চরে ভিড়ানো লঞ্চে যাত্রীদের গিয়ে উঠা-নামা করতে হয়।
ভোলা জেলা সমিতি মনেকরে, চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কটির কাজ বাস্তবায়িত হলে দেশের বিভিন্নস্থানে চাকুরীজীবি,ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবি বেশীরভাগ মানুষের এই নৌ-পথে সহজ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত করতে পারবে।
মানববন্ধনে মজু চৌধুরী ঘাট ও ইলিশাঘাটকে “নদী বন্দর” হিসেবে ঘোষণার দাবি ছাড়াও এতদ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজীকরণে আরো ৯ টি প্রস্তাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুল হক, চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকৌশলী মো. নোমান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা আবুল খায়ের, সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.জেড.এম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান রায়হান, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী, সমিতির ১ নং অঞ্চলের সভাপতি ওমর ফারুক, ৬ নং অঞ্চলের সভাপতি তসলিম উদ্দিন, ৫ নং অঞ্চলের সভাপতি এ.কে.এম সাফিজল ইসলাম, আলহাজ্ব হাফেজ মাওলা মোসলে উদ্দিন, ৫ নং অঞ্চলের সাধার সম্পাদক আলাউদ্দিন মিলন, আমিনুল ইসলাম জুয়েল,
আরো উপস্থিত ছিলেন,  ভোলা জেলা ছাত্র ফোরামের সাবেক সভাপতি নাবের আহমেদ লিটন, ১ নং অঞ্চলের সহ-সভাপতি সেলিম মিন্টু সও:, ১ নং অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ, শ্রমিক নেতা মো. মোশাররফ হোসেন, মো. সুমন, ৬ নং অঞ্চলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন বাহার, মো. জুয়েল রানা প্রমূখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ