বাঁশখালীর মোশাররফ আলী হাটে যাওয়া আসহাব উদ্দিন সড়কের বেহাল দশা : দেখার কেউ নেই

মোহাম্মদ এরশাদঃ 
চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী খাসমহলস্থ প্রধান সড়ক সংলগ্ন অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার  মানুষ চলাচল করতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এছাড়াও যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,
বাঁশখালীর কালীপুর  ইউনিয়নের গুনাগরী খাসমহল
 এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের পাশে ড্রেনজারের ব্যবস্থা না থাকার ফলে পানি চলাচল করতে না পারায় সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। গুনাগরী খাসমহল হইতে সমুদ্র সৈকত পযন্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি গর্ত হলেও সংশ্লিষ্টদের এখনো নজর পড়েনি। ফলে এলাকার স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারীরা পড়েছে বিপাকে। বিশেষ করে রাতের বেলায় অনেকে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন, ৪নং বাহারছড়া ইউনিয়নের লোক সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সমুদ্র সৈকত দেখতে আসা হাজার হাজার পর্যটক যাতায়ত করে থাকে। এছাড়া ওই সব গ্রামের কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার কাঁচা তরকারি বাজারজাত করতে এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন।

 বাহারছড়া এলাকার নাম প্রকাশ না করা স্থানীয়রা 
জানান, অনেক দিন ধরে সড়কটি গর্তে পরিণত
হয়ে পড়ে থাকায় চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসীসহ পথচারীরা। তারা আরও জানান বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত হওয়ায় পুরো চট্টগ্রামের মানুষের জন্য সড়কি দ্রুত সংস্কার অত্যান্ত জরুরী।

পশ্চিম বাঁশখালী এলাকার জনসাধারণের একটাই দাবি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেনো অতি দ্রুত সংস্কার করে দিয়ে উপজেলার পশ্চিম এলাকার মানুষ গুলি যেনো নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থটি গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতনমহল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ