বাঁশখালীতে ব্যতিক্রমধর্মী গ্রাম: মসজিদে আজান হলে দোকানপাট বন্ধ

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনঃ
কাঁচা- পাঁকা রাস্তা। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৬ শতাধিক  মানুষের বসবাস। গ্রামটি হচ্ছে বাঁশখালীর অন্তর্গত ছনুয়া ইউনিয়নের উলুখালী। যে গ্রামে মসজিদে আজান হলে শিশু-বৃদ্ধ,যুবক সবাই মসজিদে চলে যায়। এমনকি ব্যবসায়ীরাও দোকানপাট বন্ধ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দেন। ছোট-বড়, ধনী-গরিব  কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই অজু কালাম সেরে নামাজের জন্য কাতারবন্দি হয়ে যায়। নামাজ এই গ্রামের মানুষের মাঝে শান্তি রচনা করেছে।

এলাকার যুব সমাজ আগের মত দোকানে বসে আড্ডা দেয় না। চায়ের দোকানে বসে অশ্লীল নাচ-গান ও সিনেমা দেখে না। আজান হলে উলুখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে চলে যায় সবাই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে মুসল্লিতে ভরপুর থাকে। নামাজের পরে চলে কোরআন ও হাদিসের আলোকে তাফসীর পেশ। এই ব্যতিক্রমধর্মী নিয়ম চালু করেছেন  ওই এলাকার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ওয়ায়েজিন আলহাজ্ব মীর মোহাম্মদ আদম। তিনি প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীকে নামাজের দাওয়াত দেন। এতে করে এলাকার যুব সমাজ দিন দিন মসজিদ মুখী হতে থাকে।
এব্যাপারে ছনুয়ার কৃতিসন্তান সাংবাদিক সাইফি আনোয়ারুল আজিম বলেন, "তিনি আমার উস্তাদ। সপ্তম শ্রেণির বছর আমাদের কুরআনের শিক্ষক ছিলেন। চমৎকার উদ্যোগ। যদি এভাবে প্রতিটি গ্রামের আলেমরা ভুমিকা রাখতে পারে, তাহলে মানুষ আরো বেশি মসজিদমুখী হবে।"
ছনুয়া আমির পাড়ার এরশাদ নামের এক ব্যক্তি বলেন,আলহামদুলিল্লাহ। আমি কালকে মীেলভীপাড়া এক লোকের জানাযায় গিয়েছিলাম। কয়েক জনের কাছে এ কথা শুনেছিলাম । আমি খুব খুশি হয়েছি।"

এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, ছনুয়া উলুখালী লস্কর মৌলভীপাড়ার মতো অন্যান্য এলাকার আলেম-উলামারা যদি যুব সমাজকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে মসজিদ মুখো করে; তাহলে সমাজে অন্যায় -অবিচার হবে না। যুব সমাজ অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে। অপরদিকে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ