যেভাবে সন্ত্রাসী হয়ে উঠলেন জাফর মেম্বার

বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ সরল গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ৫ পুত্র। তারা হলেন মোক্তার আহমদ, রফিক আহমদ, জাফর আহমদ, খলিলুর রহমান ও মো. বশর। ১৯৯২-৯৩ সালের দিকে সরলের সাবেক এক চেয়ারম্যানের হাত ধরে জাফর মেম্বারের উত্থান।
লবণ মাঠ দখল ও চেয়ারম্যানের আজ্ঞাবহ কর্মী হিসেবে কাজ করতে থাকেন তিনি। পরে ওই চেয়ারম্যানের সাহায্যে তিনি সরলের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ওই চেয়ারম্যানের সাথে থেকে নানা অপকর্ম করতে থাকেন। উপকূলীয় সরল এলাকায় জমি ও লবণ মাঠ দখল, জলদস্যুতা থেকে শুরু করে সকল অপকর্মে উঠে আসে তার নাম।
একসময় জাফর অন্যের ভাড়াটে হিসেবে কাজ করলেও পরবর্তীতে নিজের একটি দল গঠন করেন। নিজেরা পাঁচ ভাই এবং তাদের ছেলেসহ বেশ কয়েকজন এতে জড়িত হন। নির্যাতনে তাদের ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ মুখ খুলেন না। যারা মুখ খুলেছেন তাদের নানাভাবে তিনি ক্ষতি করেছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। সরলে প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি থেকে শুরু করে নানা অপকর্মের মূল হোতা হিসেবে পরিচিতি পেলে পুলিশ তাকে ধরার জন্য বেশ কয়েকবার অভিযান চালায়। তবে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। চলতি বছরে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজির ঘটনায় প্রশাসনের টনক নড়ে। পুলিশ তার গ্রুপের সদস্যের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার অস্ত্র উদ্ধার করলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাফরের নামে ডাকাতি, খুন, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৩৩টি মামলা রয়েছে। তার ভাই খলিলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৮টি।
জানা গেছে, জাফরের ৬ পুত্র। এদের মধ্যে একজন বিদেশে থাকেন। খলিলের ২ স্ত্রীর ঘরে ৯ ছেলে ও ৬ মেয়ে রয়েছে।
/দৈনিক আজাদী/

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ