দেড় হাজার কোটি টাকার জমি ফিরে পেলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন

আব্দুল আলীম নোবেলঃ
তৎকালীন বিএনপি জোট সরকারের আমলে অবৈধ ভাবে লীজ দেওয়া ৫৯টি প্লটের মধ্যে ৫৭টি প্লট বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। ২০০৯ সালের জুলাইর দিকে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত বাতিলযোগ্য প্লটের বিষয়ে মতামত ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে ওই বছর ০৯ সেপ্টেম্বরের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের ৫৮টি প্লট এবং ১টি নম্বর বিহীন প্লট সর্বমোট ৫৯টি বাতিল ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে মৌজা দাম অনুযায়ী জমির মূল্য ৫শত কোটি টাকা হলেও বাজার মূল্য তার তিনগুণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি। 
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ৫৯টি প্লটের মধ্যে উচ্চ আদালত দীর্ঘ লড়াই শেষে সরকার ৫৭টি প্লট ফিরে পেয়েছে। ফিরে পাওয়া এই জমি গুলো সরকার ও পর্যটন শিল্পে উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে। ইতিমধ্যে বাতিল প্লটের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের তরপ থেকে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। 
লীজ গ্রহিতারা সরকারকে বিবাদী করে আদালতে মামলা করে ছিল। প্রায় ১০ বছর আইনী লড়ায় শেষে সর্বশেষ উচ্চ আদালত ৫৭টি প্লট বাতিল ঘোষনা করেন বলে জানা গেছে। ৫৯টি প্লটের মধ্যে একটি নাম্বার বিহীন প্লট। এছাড়া কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলের প্লটটি বাতিল হয়নি। তারা আদালত কর্তৃক এটির বৈধতা ঘোষনা পায়। তবে এই বাতিলকৃত প্লটে বর্তমানে নামে-বেনামে বিভিন্ন দখলবাজরা এই জমিগুলো দখলে রেখেছে। জানা গেছে নকশা ও প্ল্যান অনুযায়ী নির্মাণ কাজে বিচ্যুতি হওয়াই লীজ চুক্তির ১১নং শর্তানুযায়ী নির্ধারিত ৩ বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হয়নি বিধায় বন্দোবস্ত বাতিলযোগ্য হয়েছে বলে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।  
বাতিলকৃত প্লটগুলো হল লিজ নেওয়া মালিকরা অর্ণব রিসোর্ট প্রাঃ লিঃ এর পক্ষে মোঃ রফিকুল আলম কক্সবাজার, আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ,ঢাকা, কাজী শামসুজ্জামান, ওশান রিসোর্ট পরিচালক, ঢাকা, হোটেল সী-ইন প্রাঃ লিঃ নুরুল আবছার চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম, বাবুল কাজী, বনানী, ঢাকা, সাবেক সাংসদ আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, বাসের আহমদ খান, ঢাকা, সোলতান মঈন আহমদ, বনানী, ঢাকা, মারমেড সী-রিসোর্ট, কক্সবাজার এর পক্ষে ফিরোজ বখ্ত তোয়াহা, শাহাদাত বখ্ত  ইয়াছিন, মোহাম্মদ হাফিজ ইব্রাহিম বোরহান উদ্দিন, জেলা-ভোলা, কাজী মাহমুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তাজ ট্রেডার্স প্রাঃ লিঃ চট্টগ্রাম, মোঃ ইয়াসিন মাবুদ, চট্টগ্রাম, মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, সৈকত এসোসিয়েটস, রামু , ফোর ষ্টোর এসোসিয়েটস এর পক্ষে মোকতার আহমদ, উখিয়া, কক্সবাজার, ইকরাম চৌধুরী টিপু, চকরিয়া, কক্সবাজার, গিয়াস উদ্দিন আহমদ, চকরিয়া, কক্সবাজার। মফিজ আহাম্মদ ভুঞা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শেফার্ড ওয়াল্ড ট্রেড লিঃ, ঢাকা। এস.এম.জাকারিয়া, পরিচালক, মেরিন ইস্পায়ার লিঃ ঢাকা। ফরিদুর রহমান খান, পরিচালক, ক্লিন কোস্ট রিসোর্টস লি: ঢাকা, আকতার মাহমুদ রানা, পরিচালক, ইকো-লাইফ রিসোর্টস, ঢাকা। শামশুল ইসলাম চৌধুরী, প্রোঃ হোটেল এন্ড টাওয়ার,  পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম, রিদুয়ান হক, চকরিয়া, কক্সবাজার, আলহাজ্ব এইচ এম আবছার, কক্সবাজার, মাহবুবুল আনাম, পরিচালক, দি এম এন্ড এম লিমিটেড সেনানিবাস, ঢাকা, নুর মোহাম্মদ, পিতা-হাজী নজু মিয়া সওদাগর, ৩২, মাঝিরঘাট, চট্টগ্রাম, আজিজুল হক, চকরিয়া, কক্সবাজার, গ্রেট ওয়েষ্টার্ন হোটেল লিঃ পক্ষে নিজান উদ্দিন, মাহমুদ, ঢাকা। এনামুল হক, মোহাজের পাড়া, কক্সবাজার, এ.টি.এম নুরুল বশর চৌধুরী, কতুবদিয়া, কক্সবাজার। এম কক্সেস প্যালেস লিঃ এর পক্ষে আবদুর রহিম, কক্সবাজার, কাজী সলিমুল হক, পরিচালক, গেপ হোন্ডিংস লিঃ। এনায়েতুল বারী, পিতা-শহীদুল বারী। আকতার মাহমুদ রানা, ইকো-লাইফ রিসোর্টস লিঃ ঢাকা, হোটেল সুন্দরবন, এম.এ জব্বার সোনারগাও, ঢাকা, মোঃ শামসুল আলম, বাকলিয়া, চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ আহসান হাবিব, সাং-১০৯, খান জাহান আলী রোড, খুলনা, হোটেল সী প্যালেস লিঃ এর পক্ষে এ এস আলাউদ্দিন। মঈন উদ্দিন আহমদ, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, শেওে বাংলানগর, ঢাকা। মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, শেরে বাংলানগর, ঢাকা। এজাজ আহমদ চৌধুরী, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম। হাবিব- উন-নবী খান, মগবাজার, ঢাকা। আলহাজ্ব আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, চকরিয়া, কক্সবাজার। খন্দকার মাঈনুল আহসান শামীম, ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড কোং, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মগবাজার, ঢাকা। এস.পুর প্যারাডাইস, প্রাঃ লিঃ এর পক্ষে এনাব হাবিব উল্লাহ, কক্সবাজার।  আলহাজ্ব মকবুল আহমদ, কক্সবাজার, শাহীন চৌধুরী, কক্সবাজার। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ