বাঁশখালীতে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালী আলাওল ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী মাহাবুবা খানমের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রবিবার কলেজ ছাত্রী মাহাবুবা খানম (১৯) এর লাশ বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশের সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ-ামারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজুল হকের কন্যা মাহবুবা খানম (১৯)। গ-ামারার বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করার পর
আলাওল ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়। নিয়মিতভাবে মাহাবুবা খানম লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। সে নির্বাচনী পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। গত কিছুদিন ধরে কলেজে অনিয়মিত রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে মাহবুবা খানম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল রবিবার ভোর সকালে পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামে নিহতের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বাঁশখালী থানার এস.আই খলিলুর রহমান বলেন, লাশের সুরত হাল তৈরি করা হয়েছে। তার আত্মহত্যাও বুঝা যাচ্ছে না। তার মাথার চুলে খোঁপা বাঁধা ছিল। তার গায়ে রং শ্যামলা, পরনে সেলোয়ার লাল ও কামিজ (হালকা সাদা) এবং সাদা রংয়ের ওড়না রয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও বুঝা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর খোলাখুলিভাবে বিষয়টি জানা যাবে। বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রীর মাহাবুবা খানম এর মৃত্যু নিয়ে রহস্য থাকতে পারে। আমরা মৃত্যু নিয়ে কয়েকটি বিষয় সন্দেহ করে অগ্রগতি হয়েছি। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে মূল রহস্য বের হয়ে আসবে
সুত্রঃ দৈনিক পূর্বকোণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ