চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলার মধ্যে ভোট হবে ১৪টিতে

বি,এন ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলা পরিষদের মধ্যে আগামী মার্চে ১৪ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় শুধুমাত্র কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মার্চে হবে না। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। সংসদ সদস্যদের মতো পুরো উপজেলা জুড়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এবার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেশি।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান আজাদীকে জানান, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মার্চে দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধাপে ধাপে। চট্টগ্রামে কোন কোন উপজেলায় নির্বাচন হবে সেই ব্যাপারে প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ, পটিয়া উপজেলা পরিষদ, বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ,সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ,মিরসরাই উপজেলা পরিষদ,সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ,হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ, রাউজান
উপজেলা পরিষদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে মার্চে।
এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে নব গঠিত কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৪৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এস এম ফোরকান পেয়েছেন ছয় হাজার ৬৯৬ ভোট। অবশ্য বিএনপির প্রার্থী এস এম ফোরকান ভোট গ্রহণের দিন সকাল ১০টায় ভোট বর্জন করেছিলেন।
প্রথমবারের মতো হওয়া এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল এক লাখ সাত হাজার ৭৯৯ জন। পটিয়ার শিকলবাহা, বড়উঠান, চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা ও জুলধা ইউনিয়নকে ভাগ করে কর্ণফুলী উপজেলা গঠন করা হয়। এই উপজেলায় নির্বাচন হবে ২০২২ সালে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই, ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে দেশের সব কটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে গত বুধবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেছেন উপজেলা নির্বাচন তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা মার্চ মাসটাকে ধার্য করেছি উপজেলা নির্বাচন করার জন্য। আইন অনুযায়ী, কোনো উপজেলা পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসি।
দৈনিক আজাদী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ