সদর হাসপাতলের ল্যাব টেকনোলজিষ্ট ইলিয়াছের খুঁটির জোর কোথায়?

আবদুল আলীম নোবেলঃ
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতলের ল্যাবরেটরি টেকনোলজিষ্ট ইলিয়াছ আহমদ খাঁন’র অপকর্মের শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। জেলা সদর হাসপাতালের বড় কর্তাদের চোঁখের সামনে এই ইলিয়াছ দিনের পর দিন নানা অপকর্ম করে গেলেও যেন থামানোর কেউ নেই। জামায়াত ঘরনার বরিশালের বাসিন্দা দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছে। তার কাছে অনিয়ম-নিয়মে পরিণত হয়েছে। সে একজন সরকারী বেতনভুক্ত টেকনোলজিষ্ট হলেও এই শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ল্যাবে দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে সদর হাসপাতালের তার পদবীধারী খালীপ্যাড ব্যবহার করে অনিয়ম করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব সুবিধা শুধু ওই ইলিয়াছ আহমদ নয়, নেপথ্যে হাসপাতালে কর্মরত একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানাগেছে।
গত কয়েকদিন আগে কক্সবাজার শহরের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সামনে তার স্বাক্ষর করা খালী প্যাড জব্দ করা হয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ইলিয়াছ আহমদ শুধু ওই ক্লিনিকে নয়, শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ল্যাবে তার প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা হয়। এর বিনিময়ে ইলিয়াছ আহমদকে দিতে হয় মোটা অংকের মাসোহারা। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ল্যাবরেটরি বিভাগে রক্ত, ইউরিন সহ বিভিন্ন পরীক্ষার সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বেও বাইরের ওইসব প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় রোগীদের। আর এসব রোগীদের পাঠানোর বিনিময়ে কমিশন পান ওইসব বেসরকারী ক্লিনিক থেকে। 
সদর হাসপাতালে ঘন্টা পাঁচ এক অপেক্ষা করে তার অনিয়ম ও রোগী ভোগান্তির এমন খন্ড খন্ড চিত্র দেখা মিলে। তবে এই চিত্র নিত্যদিনের বলে অভিযোগ করেন প্রত্যান্ত এলাকা থেকে আসা রোগীরা। হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫শ থেকে ৭শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এসব রোগীরা হাসপাতালে থাকা সরকারী সুযোগ সুবিধা নিতে চাইলেও, ইলিয়াছ আহমদ অনৈতক সুবিধা নেওয়ার জন্য রোগীদের জোর করে বাহিরের ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন তার সহযোগীরা। তার এই অপকর্মের সুবিধা নেয় নেপথ্যে থাকা হাসপাতালে কর্মরত একটি চক্র। এমনকি অফিস চলাকালীন সময় তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় না বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ। তার এমন স্পর্ধার পেছনে এই হাসপাতালের বড় কর্তাদের আষ্কারা পেয়ে দিনের পর দিন সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 
এই বিষয়ে ইলিয়াছ আহমদ খাঁন’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে। 
সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ পুঁচনু কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ