জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ মিথ্যা! - ডিএসবি

চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা ডিএসবি।

শনিবার ( ২২ ডিসেম্বর) রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের জনসংযোগ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাহমুদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর উত্তর চাম্বলের সিকদার দোকান এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে তিনিসহ তার নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে বের করে দিয়ে উল্টো মামলা দিয়েছে বলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তার নেতা-কর্মী ও বাড়ি-ঘরে নৌকার প্রার্থীর সমর্থক কর্তৃক হামলা এবং বাঁশখালী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে থানা থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তার এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ওই দিন চাম্বল বাজারে এক পথসভার আয়োজন করে মাহমুদুল ইসলাম। তিনি নেতা-কর্মীসহ চাম্বল বাজারে যাওয়ার পথে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী’র নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে জাতীয় পার্টির উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা বৈলছড়ি বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে।

পরে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কের চেচুরিয়া বাজারে সড়ক অবরোধ করে, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় যাত্রীবাহী গাড়ি ভাংচুর করে, বৈদ্যুতিক পিলারের ক্ষতি সাধনসহ বাজারে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। পরে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এমনকি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। জনসাধারণের নিরাপত্তা স্বার্থে ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উত্তেজিত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে পিএসআই মোজাম্মেল খান, এসআই সুজন সিকদার, এসআই ফারুক উদ্দিন, কনস্টেবল রুবেল, শরীফ ও বাছেদ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জড়িত। মাহমুদুল ইসলাম মামলা করতে থানায় যাননি থানা থেকে বেরও করে দেননি এবং কাউকে আটকও করা হয়নি। এছাড়া মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী’র বাড়ি ঘেরাও এবং গুলি বর্ষণের ঘটনাও সত্য নয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ