পশ্চিম বাঁশখালী সমুদ্র-সৈকতকে পর্যটন করার লক্ষ্য পরিদর্শন করেন-মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি

বিএন ডেস্কঃ
বাঁশখালীর উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত দিন দিন সাধারণ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তাই প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে অসংখ্য লোকের আনাগোনায় মুখরিত থাকে উপকূলীয় এলাকা। সম্প্রতি শেষ হওয়া ঈদে এত বেশি পর্যটকের আনাগোনা ছিল যা চোখে পরার মত। বাঁশখালীর খানখানাবাদ, বাহারছড়া, গণ্ডামারা ও ছনুয়া বঙ্গোপসাগর অংশে সারি সারি ঝাউবাগান যেকারো নজর কাড়ে। সবচেয়ে বেশী লোকের আনাগোনা হয় বাহারছড়ার রত্নপুর ও কদমরসুল অংশে। বর্তমানে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। এই বেড়িবাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকাকে পর্যটন স্পটে রূপান্তরিত করলে সরকার রাজস্ব সহ বহুমুখী লাভবান হবে এমনকি কক্সবাজারে যে পর্যটকের চাপ তা থেকে চট্টগ্রামের পর্যটকরা বাঁশখালী অংশে এসে কক্সবাজারের স্বাদ নিতে পারবে। বাঁশখালীর উপকূলীয় সুদীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমুদ্র সৈকত বিস্তৃত। সারি সারি ঝাউবাগান ও বিস্তৃর্ণ সমুদ্র সৈকতের প্রাকৃতিক হাওয়া উপভোগ করতে এখানে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়। বর্তমানে আনন্দ ভ্রমণ কিংবা পিকনিক স্পটের বিকল্প হিসেবেও পর্যটকরা বেছে নিয়েছে এ অঘোষিত পর্যটন স্পটকে। বাঁশখালীর পূর্ব দিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে পাহাড় এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূলীয় সুদূর প্রসারী সমুদ্র চর। এখানে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখ যোগ্য পর্যটন স্পট। বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা প্রতিনিয়ত কক্সবাজারের ন্যায় এখানে এসে ভিড় জমান। সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু, মোরা ও আইলার মত অসংখ্য দুর্যোগের কবলে পড়ে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার বেশ কিছু ঝাউবাগান এবং প্যারাবন নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো পুনরায় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করলে একদিকে উপকূলীয় বন বিভাগের কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে আগত পর্যটকদের প্রশান্তির জায়গা সৃষ্টি হবে। বাঁশখালীর ছনুয়া থেকে শুরু করে গণ্ডামারা, সরল, বাহারছড়া ও খানখানাবাদ এলাকার বিশাল সমুদ্র সৈকতে সারি সারি ঝাউবাগান যে কারো নজর কাড়ে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলরাশি ঢেউয়ের তোড়ে প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে ওই সব ঝাউবাগান (প্যারাবন)। বাঁশখালীর উপকূল জুড়ে বর্তমানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের যে মহোৎসব চলছে সেটার সাথে যদি উপকূলীয় এলাকাকে পর্যটন স্পট করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় তাহলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপকূলীয় বনবিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অলিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তা জানান, উপকূলকে পর্যটন স্পটে রূপান্তর এবং বিচ্ছিন্ন এলাকা জুড়ে ঝাউবাগান ও প্যারাবাগান সৃষ্টির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়সমূহ প্যারাবাগানের নানাবিধ তিসাধন করে থাকে। উপকূলীয় এলাকাকে পর্যটন স্পট করার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাঁশখালীর উপকূল জুড়ে পর্যটন স্পটে রূপান্তর করার জন্য বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশারাখি তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমানে যে হারে পর্যটক প্রতিদিন আনাগোনা করছে তাতে মনে হয় এটা বিকল্প কক্সবাজার ।তিনি বনবিভাগ সহ সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয় যদি উদ্যোগ গ্রহন করে তাহলে জনপ্রতিনিধি হিসাবে সর্বাত্নক ভাবে সহযোগিতা করব বলে তিনি জানান ।



এদিকে বাঁশখালীর সমুদ্র উপকূলকে পর্যটন স্পর্ট হিসাবে ঘোষণার দাবিতে  বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের  আয়োজনে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের  সঞ্চালনায় খানখানাবাদ সমুদ্রস্থ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন – বাঁশখালীর মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ