বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ : ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস

বিএন ডেস্কঃ
বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় সাগর উত্তাল থাকতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ভারতের ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দম্কা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রধসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজ্যস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং সুষ্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
আজ সকাল ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদর্ধতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৪৮ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ২১ মিনিটে।
আরো পড়ুন :
খাঁখাঁ রোদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। সারা দেশে হ্রাস পেয়েছে বৃষ্টি। ঝলমলে রোদে খাঁখাঁ করছে সর্বত্র। আকাশেও হ্রাস পেয়ে গেছে মেঘের ঘনঘটা। লঘুচাপের প্রভাবে এমন হয়ে থাকে। এখনো সূর্য মাথার ওপরে অনেকটা তির্যকভাবে কিরণ দেয়ায় রোদ বেশ কড়া। তবে কিছুটা বাতাস থাকায় ভ্যাপসা গরমটা তেমন লাগছে না। তবে যেসব এলাকায় কিছুটা হলেও বৃষ্টি হয়ে মাটি ভিজিয়ে দিয়ে গেছে সেসব এলাকায় গরমটা কিছুটা অস্বস্তি পর্যায়ের রয়েছে। 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। এটা সামনে আরো শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী হতে পারে। এ সময়ে সাধারণত লঘুচাপ নিম্নচাপ পর্যন্ত শক্তিশালী হতে পারে। লঘুচাপ থেকে ঝড় হয় না। নিম্নচাপ হলে কেন্দ্রের কাছে বাতাসের প্রবল ঘূর্ণাবর্তে উপকূলে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে এর মাধ্যমে সারা দেশে ভারী বর্ষণ হয়ে থাকে। 
আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।
মওসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মওসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে খুব সামান্যই বৃষ্টি হয়েছে। কেবল পার্বত্য রাঙ্গামাটিতে ২৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনের দু-তিন দিন সারা দেশে এমনই আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তবে এরপর বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন হবে এবং ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সূত্রঃ ডি/এন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ