৩ ঘণ্টায় ৪২ ভোট!

বিএন ডেস্কঃ
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভোটাররা। ভোট দিতে বেশি সময় লাগায় বাইরে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।
সকাল ১১টায় রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটির মহিলা বুথে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৪২টি। এ কেন্দ্রে ভোট সংখ্যা ৩৫০টি।
এখানে ভোট দেয়া আনোয়ারা বেগম জানান, প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এর আগে এ সিস্টেমে ভোট দেইন, এ জন্য বোরিং লাগে। অনেকগুলো বাটনে চাপ দিতে হয়। এ জন্য সময় বেশি লাগে। পোলিং অফিসাররা অবশ্য এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।’
পুরুষ বুথের ভোটার তুলসিপদ সাহা বলেন, ‘৪০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। সকাল দিকে শুনেছিলাম, ইভিএম নাকি নষ্ট হয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে প্রিসাইডিং অফিসার আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম দিকে বুঝাতে সমস্যা হচ্ছে। গত ১৮ তারিখ থেকে আমরা এ ব্যাপারে প্রচারণা চালিয়ে আসছি। তারপরও অনেক বিষয়টি সহজে বুঝতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘সকাল দিকে বেশি ভিড় ছিল না। কিন্তু ১০টার পর থেকে ভোটারদের ভিড় বেড়ে গেছে। এ কারণে লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে।’
ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ডা: মো: সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘ভুলবশত বাটনে চাপ না দিয়ে মেশিনের উপরে চাপ দেয়ায় সেটি ভেঙ্গে যায়। পরে মেশিন পরিবর্তন করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন :
ভোট দিলেন হাসান-জাহাঙ্গীর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মোননীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ভোট দিতে তিনি নিজ বাসভবন সংলগ্ন ৫৪ ওয়ার্ডের আউচপাড়ায় বশির উদ্দিন উদয়ন একাডেমী ভোট কেন্দ্রে যান। পরে ৮টা ২৪ মিনিটে তিনি ভোট প্রয়োগ করেন।
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে হাসান সরকার জানান, নির্বাচনের আমি আছি, থাকব। শেষ পর্যন্ত আমি দেখতে চাই। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ফলাফল যাই হোক জনগণ মেনে নিলে আমিও মেনে নেব।
এ সময় তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ তাদের গ্রেফতার ও মারধরের অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন নির্বাচন কমিশন তাদের দেয়া ওয়াদা রক্ষা করেনি এবং তাদের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে ২০দলীয় জোটের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে, মারপিট ও হয়রানী করা হচ্ছে।
এদিকে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো: জাহাঙ্গীর আলম সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে নিজ এলাকা কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান করেন।
ভোট প্রদান শেষে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তারপরও জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেব। সত্যকে গ্রহণ করার শক্তি আমার আছে। তার নির্বাচন কর্মীদেরও জনগণের রায় মেনে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা শুরু থেকেই মিথ্যাচার করছেন। কোথাও কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না। ভোটাররা নিজ দায়িত্বে ভোট দিতে আসছেন। গাজীপুরের মানুষ তাদের সন্তান হিসেবে, সেবক হিসেবে আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ নির্বাচন শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ