বাঁশখালীতে কাঁকরোলের বাম্পার ফলন ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ চাষী

বি,এন ডেস্কঃ
বাঁশখালীতে কাঁকরোলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাঁশখালীতে যে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে কাঁকরোল। প্রতিদিন বাঁশখালী থেকে পাইকারী হিসেবে বিক্রেতারা বাঁশখালীর বিভিন্ন বাজার এবং ফসলি ক্ষেত থেকে কিনে নিয়ে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করছে। প্রচুর পরিমাণ কাঁকরোল হওয়ায় বাঁশখালীর চাষীরা আশ্বান্বিত হলেও প্রথম পর্যায়ে যে হারে দাম পাওয়া যেত বর্তমানে সে হারে দাম পাচ্ছে না।
বর্তমানে বাজারে ৪০-৫০ টাকা হারে কেজি বেচা বিক্রি হলেও পাইকারী বাজারে এই দাম আরো কম বলে জানান বিক্রেতারা। তাদের মতে প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন করেও আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না নানা কারণে । বাঁশখালীর শীলকূপ টাইম বাজার চাম্বল বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় বাঁশখালীতে উৎপাদিত সবজি চট্টগ্রামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এখানকার সবজি কোন ধরনের রাসায়নিক বিষ মিশানো না হওয়ায় ক্রেতারা সহজেই এই সবজির প্রতি আকৃষ্ট হয়।
বাঁশখালীর টাইম বাজারের ব্যবসায়ী বিশু মল্লিক, আমান উল্লাহ, আবদুল আজিজসহ বেশ কয়েকজন কাঁকরোল উৎপাদনকারী বলেন আসলেই পাইকারী ক্রেতারা কেজি হিসেবে না নিয়ে প্রতি ভার হিসেবে কিনে থাকেন।
৮শ টাকা থেকে শুরু হাজার বারশ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। বাঁশখালী চলতি মৌসুমে যেভাবে কাঁকরোল উৎপাদন হয়েছে ঝড় বৃষ্টি না হলে সবজি আরো বেশী উৎপাদন হবে যা বাঁশখালীর সবজি চাষীদের জন্য লাভবান হতে সাহায্য করবে। বাঁশখালীতে চলতি মৌসুমে কাঁকরোল ছাড়াও বেগুন, ঢেড়শ, ফল, ঝিঙা, বরবটি, তীত করলাসহ অন্যান্য সবজি বর্তমানে বাজারে চাহিদা অনুসারে পাওয়া যাচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন ,এ বছর বাঁশখালীতে প্রায় ১২শ ৫০হেক্টর জমিতে কাকরোল চাষ হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে প্রচুর। এবার কাঁকরোল চাষ করে চাষীরা সফল হয়েছে 
দৈনিক আজাদী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ