খালেদা জিয়াকে ‘আনফিট’ জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়নি, শুনানি ১০ মে

বিএন ডেস্কঃ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘আনফিট’ জানিয়ে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তাঁর অনুপস্থিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানির শুরুতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এই মামলায় আজ যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়নি। কারাগার কর্তৃপক্ষ যে কাগজ আদালতকে দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, খালেদা জিয়া আদালতে আসার জন্য ‘আনফিট’।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষেরই উচিত তাঁকে আদালতে হাজির করা। এ নিয়ে তিনটি তারিখে তাঁকে হাজির করা হয়নি। আমরা হতাশ হচ্ছি।’ ভিডিও কনফারেন্স বিষয়ে আজও দুদকের এই আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষই যদি একমত হই, তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চলতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এর মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম চলছে। ভারতেও সম্প্রতি লালু প্রসাদ যাদবের বিচারপ্রক্রিয়া এভাবে হয়েছে।’
তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া দুদকের এই আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে আমাদের ঘোর আপত্তি রয়েছে। এভাবে বিচার পরিচালনা হতে পারে না। প্রসিকিউশন থেকে বলা হচ্ছে খালেদা আনফিট। কী কারণে আনফিট, তা বলা হয়নি।’
এ সময় সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করলে দুদক তার বিরোধিতা করে। এ সময় দুদক আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করার পরোয়ানা রয়েছে। এমন অবস্থায় তাঁর জামিন বাড়ানোর সুযোগ নেই।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ১০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। রায় ঘোষণার পরই সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ