সিয়াম মাহমুদ সোহেলঃ
২৬ মার্চ ১৯৭১। মহান স্বাধীনতা দিবস। লাখো শহিদের রক্তে
রঞ্জিত জাতীয় দিবস। বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর দিন। ১৯৭১
সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা পাকিস্তানি হানাদারদের
বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা করে। আর এই দিনেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা
ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। দেশমাতৃকাকে মুক্ত
করার লক্ষ্যে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়ের
লাল সূর্য। আমরা স্বাধীন হলাম। পেলাম স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।
অর্থাৎ ১৯৭১-এ জন্ম নেওয়া বাংলাদেশটির বয়স এখন ৪৭ বছর।
স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা মানে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে। বর্তমান সরকারের রাষ্ট পরিচালনায় আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার মেধাতে অর্জন করেছি অপ্রতিরোধ্য স্বপ্নযাত্রায় বাংলাদেশ, এবং উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় লাল সবুজের বাংলাদেশ। বিশ্বের আলোচিত সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের যে ভূমিকা তার অবদান বর্তামান সরকারের অপরিহার্য বিবেচিত। ৭ মার্চের ভাষন বিশ্ব দলিলে স্থান পাওয়াটাও গর্বের বিষয়, যা একমাত্র অর্জন বাঙ্গালী জাতির জন্যে। আর এই চেতনার মূল শক্তি উদ্দীপনা প্রেরণার উৎস হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক "বঙ্গবন্ধু "শেখ মুজিবুর রহমানের। তাই আবার একটি স্লোগান মনে করিয়ে দেই " পিতার হাতে স্বাধীনতা, কণ্যার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ"।
আর এই চেনতার পরিপ্রেক্ষিত বর্তমানের কিছু কথা....
ইতিহাসের নতুন অধ্যায়টিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের বোঝা উচিত যে, স্বাধীনতা মানে শুধু পরাধীনতা থেকে মুক্তি নয়, নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন ও শুধু নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌমিক জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা এবং অবশ্যই অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্পষ্টভাবেই উচ্চারণ করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এই মুক্তির সংগ্রামে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামীদের মতোই স্বপ্ন ও সাহস এগিয়ে আসুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এবারে আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছর উদযাপন করব। ইতিহাসের পাতায় এটি দীর্ঘ সময় না হলেও কোনো জাতির অগ্রগতির জন্য একেবারে কম সময়ও নয়। এই সময়ে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন যে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। আমরা জানি যে, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতা; আমাদের মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। বলা বাহুল্য, সেই পথে আমরা বেশি দূর এগুতে পারিনি। আমাদের দেশেও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ছে, সে প্রক্রিয়া বেশি দূর এগুতে পেরেছি । স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র সেই অর্থে সুখের । রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ভিন্ন মোড়কে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে, রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে আমাদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে গাড়ি দৌড়ে বেরিয়েছে যা সত্যিই লজ্জ্বা ও অপমানজনক। স্বাধীনতার চার দশক পরে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জেগে উঠেছে যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অনেকটায় শেষ হয়েছে । পৃথিবীর ইতিহাসে এটাও বিরল ঘটনা। বাঙালি ইতিহাস জন্ম দেওয়া জাতি। তার প্রমাণ এর আগেও রয়েছে।
বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে অত্যন্ত আন্তরিক। যার প্রমাণ কাদের মোল্লা সহ অনেকের বিচারের রায় কার্যকর। তবে স্বীকার্য বিষয় এই যে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অগ্রগতি নিশ্চয়ই হয়েছে। সেই সাথে যোগ হয়ছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, জানিনা কতটুকুতে গিয়ে দাড়ায়...? তবুও বর্তমান সরকারের প্রতি জনগনের আস্তাও বিশ্বাস আছে এটা বাস্তব উদাহরণ, সম্প্রতি যে সমস্যার সম্মুখীন কক্সবাজারর জেলা সহ পুরা বাংলাদেশে তা পুষয়ে উঠতে অনেক সাধনা করতে প্রয়োজন বলে মনে করছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য, ন্যায় ও গণতন্ত্র; মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, স্বাধীনতার চার দশক পরও আমরা সেই পথে বেশি দূর এগোতে পারিনি।
যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল দেশপ্রেমিক জনতা, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে, কতটা হয়নি, আজ স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রশ্নে উত্তর জানা জরুরি। একাত্তরের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এটাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যাশা।
স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। স্বাধীনতা মানে নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক মুক্তি। একটি দেশের স্বাধীনতা সেদিনই সার্থক হয় যেদিন দেশের আপামর জনগণ প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক পরিবেশে, নিজেদের নাগরিক অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা অর্জন করে। বর্তমান সরকারের রাষ্ট পরিচালনায় আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার মেধাতে অর্জন করেছি অপ্রতিরোধ্য স্বপ্নযাত্রায় বাংলাদেশ, এবং উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় লাল সবুজের বাংলাদেশ। বিশ্বের আলোচিত সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের যে ভূমিকা তার অবদান বর্তামান সরকারের অপরিহার্য বিবেচিত। ৭ মার্চের ভাষন বিশ্ব দলিলে স্থান পাওয়াটাও গর্বের বিষয়, যা একমাত্র অর্জন বাঙ্গালী জাতির জন্যে। আর এই চেতনার মূল শক্তি উদ্দীপনা প্রেরণার উৎস হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক "বঙ্গবন্ধু "শেখ মুজিবুর রহমানের। তাই আবার একটি স্লোগান মনে করিয়ে দেই " পিতার হাতে স্বাধীনতা, কণ্যার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ"।
আর এই চেনতার পরিপ্রেক্ষিত বর্তমানের কিছু কথা....
ইতিহাসের নতুন অধ্যায়টিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের বোঝা উচিত যে, স্বাধীনতা মানে শুধু পরাধীনতা থেকে মুক্তি নয়, নতুন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন ও শুধু নয়। স্বাধীনতা হলো স্বাধীন রাষ্ট্রে সার্বভৌমিক জাতি হিসেবে টিকে থাকার আয়োজন। স্বাধীনতা মানে ইচ্ছার স্বাধীনতা, রাজনীতির স্বাধীনতা এবং অবশ্যই অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্পষ্টভাবেই উচ্চারণ করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এই মুক্তির সংগ্রামে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের তরুণ প্রজন্ম একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামীদের মতোই স্বপ্ন ও সাহস এগিয়ে আসুক, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
এবারে আমরা স্বাধীনতার ৪৭ বছর উদযাপন করব। ইতিহাসের পাতায় এটি দীর্ঘ সময় না হলেও কোনো জাতির অগ্রগতির জন্য একেবারে কম সময়ও নয়। এই সময়ে আমাদের আত্মজিজ্ঞাসার প্রয়োজন যে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। আমরা জানি যে, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িকতা; আমাদের মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। বলা বাহুল্য, সেই পথে আমরা বেশি দূর এগুতে পারিনি। আমাদের দেশেও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ছে, সে প্রক্রিয়া বেশি দূর এগুতে পেরেছি । স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিত্র সেই অর্থে সুখের । রক্তে রঞ্জিত ইতিহাস তার সাক্ষ্য বহন করে। স্বাধীনতা বিরোধীরা ভিন্ন মোড়কে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে, রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে আমাদের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে গাড়ি দৌড়ে বেরিয়েছে যা সত্যিই লজ্জ্বা ও অপমানজনক। স্বাধীনতার চার দশক পরে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জেগে উঠেছে যদিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অনেকটায় শেষ হয়েছে । পৃথিবীর ইতিহাসে এটাও বিরল ঘটনা। বাঙালি ইতিহাস জন্ম দেওয়া জাতি। তার প্রমাণ এর আগেও রয়েছে।
বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে অত্যন্ত আন্তরিক। যার প্রমাণ কাদের মোল্লা সহ অনেকের বিচারের রায় কার্যকর। তবে স্বীকার্য বিষয় এই যে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অগ্রগতি নিশ্চয়ই হয়েছে। সেই সাথে যোগ হয়ছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, জানিনা কতটুকুতে গিয়ে দাড়ায়...? তবুও বর্তমান সরকারের প্রতি জনগনের আস্তাও বিশ্বাস আছে এটা বাস্তব উদাহরণ, সম্প্রতি যে সমস্যার সম্মুখীন কক্সবাজারর জেলা সহ পুরা বাংলাদেশে তা পুষয়ে উঠতে অনেক সাধনা করতে প্রয়োজন বলে মনে করছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল জাতীয় ঐক্য, ন্যায় ও গণতন্ত্র; মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, স্বাধীনতার চার দশক পরও আমরা সেই পথে বেশি দূর এগোতে পারিনি।
যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল দেশপ্রেমিক জনতা, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে, কতটা হয়নি, আজ স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রশ্নে উত্তর জানা জরুরি। একাত্তরের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাক এটাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যাশা।
লেখক: সিয়াম মাহমুদ সোহেল, (দপ্তর সমন্বক) পরিকল্পিত কক্সবাজার আন্দোলন।
0 মন্তব্যসমূহ