বাঁশখালীতে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ৩ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ

বিএন ডেক্সঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ৩ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারকে ঘিরে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। তাছাড়া ঐ পরিবারের কোন সদস্যকে থানা পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে যেতে দিচ্ছেন না ধর্ষণকারীর পরিবার ও প্রভাবশালী মহল।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংবাদ কর্মীরা ধর্ষিতার পরিবারের বাড়ীতে গেলে স্থাণীয় কতিপয় যুবক ঐ পরিবারের কোন সদস্য বাড়ীতে নেই বলে দেখা করতে দেয়নি। তাছাড়া পুইঁছড়ি ও শেখেরখীল ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে সালিশী বৈঠকে ১০ হাজার টাকা ধর্ষিতার পরিবারকে জরিমানা বাবদ দিতে চাইলেও তা নেননি বলে এলাকাবাসী জানান। এদিকে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
স্থাণীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ পুইঁছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বার্ষিক সভা চলছিল। সভায় স্থাণীয় জাকের আহমদের কন্যা ঐ মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণী ছাত্রী (সংগত কারণে নাম প্রকাশ করা হল না) দেখতে যান। সভায় ঐ ছাত্রীকে দেখতে পেয়ে একই মাদ্রাসার সদ্য দাখিল পরীক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বাহার কথা আছে বলে পাশর্^বর্তী বহদ্দার হাট গোদার পাড় জেলে পাড়ার নির্জন স্থাণে নিয়ে যায়। সেখানে সে ও তার ৩ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। এক পর্যায়ে ধর্ষিতার আত্ম চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিলে গেলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়।
ধর্ষিতাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বাড়ীতে দিয়ে আসতে চাইলে সে জানান একই ইউপির লাল জীবন এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র শহিদুল ইসলাম বাহার আমাকে জোরপূর্বক লাঞ্চিত করেছে। আমি বাড়ীতে যাব না। আমাকে বাহারের বাড়ীতে দিয়ে আসতে অনুরুধ করেন এলাকাবাসীকে। সেই মোতাবেক বাহারের বাড়ীতে ধর্ষিতাকে দিয়ে আসে এলাকাবাসী। তবে ধর্ষকের পিতা আবুল কাশেম সুকৌশলে পুঁইছড়ি ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ডের নাসির উদ্দিন এবং শেখেরখীল ৯নং ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ধর্ষিতাকে তার বাড়ীতে রেখে আসেন। পরবর্তী ২৫ মার্চ শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন এর কার্যালয়ে সালিশী বৈঠকে তৎপরতা শুরু করে। তবে চেয়ারম্যানের অপারগতায় ঐ সালিশী বৈঠক হয়নি। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রশাসনের দ্বার প্রান্তে যাতে পৌছাতে না পারে ধর্ষিতার পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল।
এ ব্যাপারে পুঁইছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন জানান আমাদের মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া এক ছাত্রী লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর মা ইয়াছমিন আক্তার মামলা করার জন্য মাদ্রাসায় এসে ঐ ছাত্রীর ডকুমেন্ট চেয়েছিল। আমি তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি। তবে সে ডকুমেন্ট নিতে অদ্যাবধি মাদ্রাসায় আসেননি বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় কতিপয় ইউপি সদস্য সালিশী বৈঠকের জন্য আমার কার্যালয়ে নিয়ে আসছিল। তবে নারী ঘঠিত ঘটনা বিধায় আমি অপারগতা প্রকাশ করি।
 /জনকণ্ঠ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ