নিখোঁজের দু’দিনপর বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উদ্ধার

বিএন ডেস্কঃ
  বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন দে নিখোঁজের দুই দিনের পর নগরী থেকে উদ্ধার হয়েছেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নগরীর অলংকার এলাকার এ কে খান মোড়ে একটি বাস তাকে নামিয়ে দিলে থানা পুলিশ বোয়ালখালী নিয়ে আসেন।
তিনি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে নগরীর সিভিল সার্জন অফিসের এক সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ ছিল। তার সন্ধান না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় তার স্ত্রী নেলী দে বোয়ালখালী থানা ডায়েরী করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিমাংশু কুমার দাস রানা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় ডা. রতন দে এর স্ত্রী নেলী দে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর থেকে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযানে নামে। বোয়ালখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, রাঙামাটিসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে বুধবার ভোরে কুমিল্লা থেকে তিনি রওনা দিয়েছেন জানালে পুলিশ অলংকার মোড়ে অবস্থান নেয়। তবে এ বিষয়ে ডা. রতন দে প্রাথমিক ভাবে তেমন কিছুই জানাতে পারেননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ডা. রতন দে এর স্ত্রী নেলী দে জানান, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই মোবাইল থেকে ফোন করে ৩লক্ষ টাকা চাওয়া হয় এবং তারা একটি বিকাশ নাম্বার দেন। তারা দিনভর কয়েক দফা ফোন করে কথা বলে আবার তা বন্ধ করে দেন। তাদেরকে আমার স্বামীর (রতন) সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে তারা তাৎক্ষণিক ১৫হাজার টাকা দাবি করে। এরপর বিকাশে ৫হাজার টাকা দেয়া হলে তারা জানায় তিনি (রতন) আমাদের কাছে নেই। পরবর্তীতে বিকাশ নাম্বারটিও বন্ধ করে দেয়। আজ বুধবার সকালে আমার স্বামী অন্য একব্যক্তি মোবাইল থেকে জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সকলের তৎপরতায় তাকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছি।
থানার উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুল আলম আকন্দ বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারি ডাক্তার সাহেব রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থান করেছেন। এরপর খোঁজ নিয়ে তাকে বিভিন্ন মানুষজন দেখেছেন এমনটাও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ৩লক্ষ টাকা বিকাশে টাকা চাওয়ার পর তাদের কাছে এজেন্ট নাম্বার চাইলে তারা ব্যক্তির নাম্বার দেয়। এরপর ওই বিকাশ নাম্বার অনুযায়ী অবস্থান ছিলো চন্দ্রঘোনা থানা এলাকার। তাতে ৫হাজার টাকা দেয়ার পর তা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বারবার ডাক্তার সাহেবের মোবাইল থেকে ফোন করা ব্যক্তি সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে সিমটি কুড়িয়ে পেয়েছে।
ডা. রতন কুমার দে বলেন, ‘কোথায় কিভাবে গিয়েছি জানি না।’
সূত্রঃ সিটিজিনিউজ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ