চেচুরিয়ায় প্রশাসনের বাধায় মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে না"

শফকত হোসাইন চাঁটগামীঃ
আজ শুক্রবার বাঁশখালীর চেচুরিয়ায় ছাত্র ও যুব সমাজের উদ্যোগে একটি মাহফিল ছিল। প্রশাসন ওই মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে। কেন?  কি কারণে মাহফিলটি বন্ধ করে দেয়া হল জানা নেই।
তবে এভাবে মাহফিল বন্ধ করে দেয়া সরকারের পলিসি নয়। এটি বঙ্গবন্ধুর কোন থিউরীও নয়। বঙ্গবন্ধু কখনো ধর্ম বিরোধী ছিলনা, ছিল ধর্ম পরায়ন। বক্তব্যের শুরু শেষে নিত আল্লাহর নাম। এছাড়া আলেম ওলামার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর বহু স্মৃতি এবং ঘটনা রয়েছে।
আমরা দেখেছি, সারা বাংলাদেশে মন্ত্রী, এমপি এবং প্রভাবশালী নেতারা মাহফিল বন্ধ করার পরিবর্তে তারা নিজেরা মাহফিল শুনেন। কিছুদিন আগেও চট্টগ্রামের মিরসরাইতে মন্ত্রী মোশাররফ হোসাইন ঘন্টার পর ঘন্টা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর বয়ান শুনেন স্টেইজে বসে।
সিলেটে স্টেইজে বসে সাবেক মেয়র বদরুদ্দীন কামরান পীর সাহেব চরমোনাইর বয়ান তো শুনেছেনই আবার হুজুরের হাতে চরমোনাই মাহফিলে যাওয়ার ওয়াদা করেছেন। বহু মন্ত্রী এমপি প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় হক্কানী আলেমদের বয়ান শুনে নিজেকে ধন্য করেন।
একজন মুসলমান হিসেবে এটি আওয়ামীলীগ বিএনপি সবার একটি ধর্মীয় স্বাধীনতা। 
শুধু তাই নয়, আমাদের বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীও একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। তিনি এমপি হয়ে সংসদে সর্বপ্রথম যে বক্তব্য রাখেন, তাতে তিনি বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকার জনগন যে লোনাপানির কারণে অজু করতে কষ্ট হচ্ছে তা তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনেন। 
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সেদিনই বাঁশখালী বেড়িবাঁধের জন্য সরকার বরাদ্ধ দেন।
গত কিছুদিন পুর্বে বাঁশখালী উপজেলা জামে মসজিদে এসি লাগানোর জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
তাছাড়া বাঁশখালীর মসজিদ মাদরাসাগুলোতে এমপির দান অনুদান চোখে পড়ার মত।
বাঁশখালীর নাপোড়ায় গতকাল যে আন্তর্জাতিক কেরাত মাহফিল এবং জুনাইদ আল হাবিব এলেন, তার আয়োজক ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা মুজিবুর রহমান সিআইপি। কয়েক বছর ধরেই এই মাহফিল তিনি করেন। গত বুধবার বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ারবাজারে যে মাহফিলটি হল, সেটির আয়োজক পৌর যুবলীগ সভাপতি হামিদুল্লাহ ও তার পরিবার। এভাবেই প্রতিদিন কোন না কোন মাহফিলে আওয়ামীলীগের লোকজন জড়িয়ে আছেন।
এদেশের মাদরাসাগুলোতেও আওয়ামীলীগ, বিএনপির অবদান রয়েছে। তাদের অনুদানের বড় একটি অংশ দিয়েই মাদরাসাগুলো চলে।
তাহলে কেন এভাবে মাহফিল বন্ধ করা হল?
হয়তো প্রশাসনের ভেতরে লুকায়িত কোন নাস্তিক মুরতাদ বেঈমানদের দোষর এই কাজটি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। অথবা আয়োকজদের সমন্বয়ের অভাব এবং কোন ঘাপলার কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে আমার ধারণা। সব কথার শেষ কথা, যেভাবেই হোক মাহফিল বন্ধ করে দেয়া কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ