কত বছর বয়স হলে মিলবে বয়স্ক ভাতা?

জে এম নাঈম হাসান, ভোলাঃ
 আমরা কী পারবো বৃদ্ধা মুখে একটু হাসি পুটাতে? মূখে কি দিতে পাবো একটু ভাত? এ রকম কিছু কথা বোরহানউদ্দীন উপজেলার ,হাসান নগর ইউনিয়ানের ৮৪ বছরের বৃদ্ধা মোঃ আব্দুল কাসেমের। তার মূখে হাসি। কিন্তু এ হাসি কোনে সুখের হাসি নয়। এ হাসির ভিতরে আছে অনেক দুঃখ -বেদনা দুর্দশা।

পরিচয় :-
বৃদ্ধ আব্দুল কাসেমের এখন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার , ৬নং হাসান নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে।বয়স ৮৪ ছুয়েছে। স্ত্রীকে নিয়ে মির্জাকালু খাসমহলের বাজারের পূর্ব পাশে কলনীতে থাকেন তিনি ।৮৪ বছর বয়সেও কর্ম থেকে বিরতি নিতে পারেন নি। প্রতিনিদি জীবনে যুদ্ধ নামছেন কাশেম। হার মেনে নেননি কর্মক্ষমতাকে। নিজের আর স্ত্রী জীবন বেচে রাখার উপায় বেঁচে নিয়েছেন তিনি।বয়সের ভারে কুজো হয়ে গেছেন। চলাফেরায় খুবই কষ্ট হচ্ছে। তারপরও জিবনের বেঁচে থাকার তাগিদে পথে প্রান্তরে মানুষের কাছে কাজ পেতে বেড়াচ্ছেন।

আব্দুল কাশেমের ছেলেমেয়ে কেউ নেই।তিনি নিজের কর্মের উপরেই ভরসা । দৈনিক মাত্র ১০০/১৫০ টাকা বেতনে কাজ করেন। যা বর্তমান বাজারের দুই তিন কেজি চাউলের মূল্য। যে টাকা পায় এ নিয়ে তার সংসার চলার মতো নয়। হিমশিমে পড়ে গেছেন আব্দুল কাসেম।বয়সের চাপে ও অসুস্থতায় সে কাজ করে শক্তি পান না। তার পরও সংসারের খরচ চালাতে তিনি প্রত্যহ বের হন রাস্তায়।

সাক্ষাতকারে বৃদ্ধা আব্দুল কাসেম বলেন, আল্লাহ ছাড়া আমাগরে দেখার কেহ নেই।বৃদ্ধা আব্দুল কাশেম বলেন আমার বর্তমান ৮৪ বছর এই বয়সেও আমার কাজ করে খেতে হয়।আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার আমাগো কোনো খোজ খবর নেয় না। মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে বহুবার গেছি, তারা আমার কথার কোনো মূল্য দেইনি। আজকাল বাজারের যে মূল্য কিছু বাজার করার পর আমার আয়ের আর টাকা থাকে না। দিন মজুরি দিয়ে দিন শেষে ১০০ /১৫০ টাকার মতো অয় হয়।এই টাকা দিয়ে খাবার খরচ ও ওষুধ খরচ বহন করি। তিনবেলা ভাত ঝুটেনা আমাগো কপালে। কোনোদিন দু'বেলা কোনোদিন একবেলা খেয়ে জীবন চলছে।আমি সব সময় চিন্তায় থাকি। কখন অক্ষম হয়ে যাই। আমি যদি অক্ষম হয়ে যাই আমার স্ত্রীকে দেখবে কে? তখন আমার স্ত্রী না খেয়ে মরে যেতে হবে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানান আব্দুল কাসেম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ