বাঁশখালীতে লকডাউনের নামে চাঁদাবাজি, ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীর উপর হামলা

করোনা ভাইরাস নামের মরণব্যাধি মহামারি সারা বিশ্বকে নিস্তব্ধ ও থমকিয়ে দিয়েছে কিন্তু থমকিয়ে দিতে পারেনি মেম্বর কামাল হোসেন প্রকাশ পুতুইন্নার চাঁদাবাজি ও সাংবদিকের উপর হিংস্রাত্মক হামলা। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড়ের ডাকাতিয়া ঘোনার আরবশাহ বাজারস্থ ব্রীজের উত্তর পাশ্বে রাস্তার উপর ৩ নং ওয়ার্ড়ের মেম্বার কামাল হোসেন প্রকাশ পুতুইন্না বাঁশ দিয়ে লকডাউনের নামে ব্যরিকেট দেয়।এবং অটোরিকশা, সিএনজি সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের গাড়িসহ চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে। যাতে করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও গাড়ির ড্রাইভারের মধ্যমে এমন সংবাদ পেলে এস.,এন.টিভির বাঁশখালী প্রতিনিধি সরোয়ার আলম ও জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার দিদারুল ইসলাম লকডাউন এলাকায় সরেজমিনে যায়। সরেজমিনে গিয়ে লকডাউন করে চাঁদাবাজির সত্যতাও পাওয়া যায়। একাধিক ড্রাইভার ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন মেম্বর ও তার ছেলে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা লকডাউন করেছে। জরুরি গাড়িও যেতে পারছেনা।

আর ১০০ টাকা করে চাঁদা দিলে গাড়ি যেতে দেয়। এ বিষয়ে মেম্বার কামাল হোসেন প্রকাশ পুতুইন্নার কাছে জানতে চাইলে বলেন সারাদেশে লকডাউন চলতেছে। আমি আমার এলাকার লকডাউন করেছি। লকডাউন করার পারমিশন কার কাছ থেকে নিয়েছে জানতে চাইলে বলেন, আমি বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউনো) সাহেবের এর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে লকডাউন করেছি। প্রতিটি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেসা করিলে সাংবাদকর্মীর উপর আক্রমনাত্মক আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে ধারণাকৃত ভিডিও ও যথেষ্ট ডকুমেন্ট গুলো ডিলেট করে দেয় । এবং মেম্বার কামাল হোসেন, পুতুইন্না, তার ছেলে পারভেজ,ও এয়াছিন সহ সাঙ্গপাঙ্গরা দুইজন সাংবাদকর্মীর উপর হিংস্রাত্মকভাবে হামলে পড়ে। কিল-ঘুষি ও লাতি মারতে থাকে। এবং এবিষয় গুলি নিয়ে বেশি ভাড়াবাড়ি করিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান হামলার শিকার সংবাদকর্মীরা। এ বিষয়ে মেম্বার কামাল হোসেন প্রকাশ পুতুইন্নাকে ফোন করিলে মুঠোফোনে বলেন আমাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব লকডাউন এর পারমিশন দিয়েছে।

ঘটনাস্থলে সে বলেছিল ইউনো সাহেব পারমিশন দিয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে সেটা লুকচ্ছে যেটা ভিডিও ধারণাে সংরক্ষিত আছে বিভিন্ন গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করিলেই কথা না বলে ফোন কেটে দেয়। বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন দুইজন সাংবাদকর্মীকে খারাপ আচরণ ও মারধরের ঘটনার একটি এজাহার হাতে পেয়েছি। এবিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি এটার জন্য অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো বলে জানান। এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার এর কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাইলে বলেন যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি মেম্বার কামালকে আমি ডাকাবো। এসব কর্নকান্ডের কারণ দর্শাবো। এবং কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ