বাঁশখালী'তে মামলার সাক্ষীকে পেটালো আসামিরা

বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নে এবার মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে জসীম উদ্দিন (৩০)’ নামে এক সাক্ষীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকাল ৮টার দিকে বৈলছড়ি বাজারের সিএনজি স্টেশনে তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। এ ঘটনায় জসীমের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাঁশখালী হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, মারধরের শিকার রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। উনার হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। হাত-পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার পূর্বদেশকে বলেন, ‘জসীমকে কেন মেরেছে বিষয়টি নিয়ে একটু বিভ্রান্তি আছে। কেউ বলছে সিএনজি স্টেশন থেকে কেউ একজনকে বাদ দেয়ায় নাকি ঘটনাটি ঘটেছে। বৈলছড়ির ঘটনা মানেই ভেজাল। কেউ সাক্ষী দিচ্ছে না। সবাই বলছে হেলমেট পড়ে মারধর করায় কেউ চিনতে পারে নাই। স্থানীয় কেউ জড়িত থাকলে মানুষ তাদের চিনবে না এটা বিশ^াসযোগ্য নয়। আমরা ঘটনার সাথে কারা জড়িত খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের স্বজনরা জানান, গত ১২ জানুয়ারি বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র আনতে গিয়ে এক স্কুলছাত্র ও তার বন্ধুরা মারধরের শিকার হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা করে। একটি মামলার বাদি শামসুল ইসলামকে প্রতিপক্ষের দায়ের করা অপর মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল ইসলাম লোকজন নিয়ে আসামি হওয়া মামলার ৮ নম্বর সাক্ষী জসীম উদ্দিনকে বৈলছড়ি বাজারে বেদম মারধর করেন। পিটুনীতে জসীমের হাত-পায়ের হাড় ভেঙে যায় এবং পুরো শরীরে জখমের চিহ্ন আছে।
আহত জসীমের নিকটাত্মীয় শামসুল আলম পূর্বদেশকে বলেন, বৈলছড়ির ঘটনায় গতকাল (সোমবার) একটি মামলা হয়েছে সে মামলার সাক্ষী জসীম। সাক্ষী থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার আসামিরাই তাকে মারধর করেছে। হামলায় জসীমের ডান হাত ও ডান পায়ের হাঁড় ভেঙে গেছে। এখন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
/পূর্বদেশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ